ময়মনসিংহের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরিক্ষার পর ফুলপুর পৌরএলাকার মোঃ জহিরুল ইসলাম (২৫) নামে আরও একযুবকের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। সে ফুলপুর পৌরসভার কাজিয়াকান্দা গ্রামের ইসলামের ছেলে। রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রোগী জহিরুল ইসলামকে বিশেষ ব্যাবস্থায় এম্বুল্যান্সে করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে এসকে হাসপাতালের আইসোলেশনে নিয়ে ভর্তি করেছেন। সাথে সাথে বাড়িসহ আশপাশের এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। তবে সে কিভাবে আক্রান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি।

জহিরুল ইসলাম গাজীপুরের মাওনায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করিত বলে স্থানীয়রা জানান। কয়েকদিন আগে সে বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার পর সে উপজেলা সদরের প্রাইভেট ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থানে অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছে এবং একজন ডাক্তারকে তার প্রাইভেট চেম্বারে দেখিয়ে অন্য একটি ক্লিনিকে এক্স-রে করিয়েছে বলেও জানা যায়।

এর আগে ১০ এপ্রিল বালিয়া ইউনিয়নের কাইচাপুর গ্রামে আব্দুল কাদির (৫৫) নামে এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছিল। সে ময়মনসিংহ এসকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ই এপ্রিল মারা যান।

ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, আমরা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি ইউনিয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করার সময় জানতে পারি ফুলপুর পৌরসভার কাজিয়াকান্দা গ্রামের এক ব্যক্তির মাঝে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ লক্ষণিয়। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে রবিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অবস্থিত পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষার পর উক্ত ব্যক্তির করোনা ভাইরাস পজেটিভ পায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অবস্থিত করোনা শনাক্ত করণের পিসিআর ল্যাব।

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে এসকে হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে তার বাড়িসহ এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।