বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চারজন। যার মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজের তিনজন অধ্যাপক রয়েছেন। গত শনিবার একজন সহকারী অধ্যাপকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর গতকাল রবিবার আরও দুইজন শনাক্ত হয়েছেন। ফলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো কলেজজুড়ে। আতঙ্ক বিরাজ করছে হাসপাতালের চিকিৎসকদের মধ্যেও।
অধ্যক্ষ ডা. মোঃ আব্দুল আহাদ বলেন, তিনজন অধ্যাপক এর করোনা সংক্রান্ত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে অন্য সহকর্মীরা একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাই কলেজে কিছুটা আতঙ্ক সবার মধ্যে বিরাজ করছে। আমি নিজে কিছুদিন বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আক্রান্ত চিকিৎসক আমার রুমে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন তার খাতায় সই করতে ও অন্যান্য কাজে।
এদিকে তিনজন সহকর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় আতঙ্কে আছেন খুমেক ও হাসপাতালের তিন শতাধিক চিকিৎসক নার্স ও কর্মচারী। অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অফিস রুম ও শিক্ষক লাউঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জায়গা ইতোমধ্যে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজর অধ্যক্ষ ডা. মোঃ আব্দুল আহাদ জানান, রবিবার খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জন চিকিৎসকের নমুনাও ছিলো। এতে দুইজন চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদের মধ্যে একজন গ্যাস্ট্রোন্ট্রোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরজন শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তারা দুইজনেই গত ১০ এপ্রিল ঢাকা থেকে খুলনায় আসেন এবং দু’জনেই কলেজের গেস্ট হাউজে থাকেন। এ নিয়ে খুলনা জেলায় ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে তিনজনই চিকিৎসক। এখন পর্যন্ত খুলনায় সর্বমোট ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে যার মধ্যে ৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।