নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : জাতীয় দলের পাইপ লাইন হিসেবে ক্রিকেটারদের প্রস্তুত রাখার আইডিয়া নিয়ে গত মওশুম থেকে শুরু হয়েছে মিলিয়ন ডলারের হাই পারফরমেন্স (এইচপি) স্কোয়াডের ক্যাম্প। গত বছরের জুন থেকে ২২ ক্রিকেটারকে নিয়ে ১৫ সপ্তাহের ক্যাম্প থেকেই আবু হায়দার রনির মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে জাতীয় দলের জন্য তৈরি করতে পেরেছে বিসিবি। ফর্মের ছন্দপতন থেকে সাব্বির রহমান রুম্মান ধারাবাহিকতায় ফিরেছে এই ক্যাম্প থেকেই। মুস্তাফিজুরকে অফ সিজনে অনুশীলনে ব্যস্ত রাখতেও বিশেষ ভুমিকা রেখেছে হাই পারফরমেন্স ট্রেনিং। ডিরেক্টর অব ট্রেনিং পল টেরি এবং হেড কোচ ম্যাল লয়ের হাত ধরে শুরু হওয়া এইচপির কার্যক্রমের দ্বিতীয় বছরে এসে বদল হয়েছে কোচ। খÐকালীন দায়িত্ব পালন শেষে ওই দুই বিদেশির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন হয়নি। তাদের স্থলে কর্মদিবস অনুযায়ী চুক্তিতে যোগ দিয়েছেন হেড কোচ সায়মন হেলমট এবং স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ কোরে বকিং। তবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) ট্রিনিবাগো নাইট রাইডার্সের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করতে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে অবস্থান করায় হেড কোচ সায়মন হেলমটকে ছাড়াই শুরু হয়েছে গতকাল থেকে প্রতিভাবান ২৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে ৮ সপ্তাহের ক্যাম্প। ক্যাম্পের প্রথম তিন সপ্তাহ চলবে এই হেড কোচ ছাড়াই। আপাততঃ তার পরিবর্তে স্থানীয় কোচদের অধীনেই চলবে এইচপির কন্ডিশনিং ক্যাম্প। গতকাল সকাল ৯টায় বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের ন্যাশনাল ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিমের তত্ত¡াবধানে এই কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় কোচ জাফরুল ইসলাম, সোহেল রহমান, ওয়াহিদুল গনি, সারোয়ার ইমরান ও মিজানুর রহমান বাবুলকে দিয়ে চলবে ক্যাম্পের অনুশীলন। গতকাল ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিসিবির সহ-সভাপতি ও এইচপির সমন্বয়ক মাহবুব আনাম। সকালে ফিটনেস বিষয়ে কাজ হয়েছে। পরে ক্রিকেটারদের নিয়ে সভা করেছেন কোচ ও কর্মকর্তারা। দুপুরের পর আবারও ফিটনেস ট্রেনিং করেন ক্রিকেটাররা।
এইচপি ক্যাম্পের শুরুতে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করবেন স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ কোরে বকিং। চতুর্থ দিন থেকে শুরু হবে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, উইকেটকিপিং নিয়ে কাজ। এইচপি’র ক্যাম্প সম্পর্কে মিডিয়াকে একটা ধারণা দিয়েছেন কোরে বকিংÑ ‘আমাদের ক্যাম্পটি সংক্ষিপ্ত সময়ের। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে থাকছে ফিটনেস নিয়ে নিবিড় কাজ। এরপর সবার ব্যক্তিগত স্কিল নিয়ে কাজ করা হবে। ম্যাচের পরিস্থিতিতে অনুশীলন হবে। শেষ দিকে থাকবে কিছু ম্যাচ খেলা। আমাদের পরিকল্পনা হলো এই ক্রিকেটারদের অন্ততঃ কয়েকজনকে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করে তোলা। আগামী মাস দুয়েকে এটিই আমাদের লক্ষ্য।’ তবে ক্যাম্পে ডাক পাওয়া বেশ ক’জন ক্রিকেটারের ফিটনেস নিয়ে প্রথম দিন সন্তুষ্ট হতে পারেননি কোরে বকিংÑ ‘প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে কয়েকজনের ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজের প্রয়োজন আছে। ওদের উন্নতির জন্য আলাদা করে ব্যক্তিগত প্রোগ্রাম করে দেওয়া হবে।’
এইচপির এই ক্যাম্প স্বপ্ন দেখাচ্ছে তরুণদের। পেসার হান্টের আবিস্কার এবাদত হোসেন চৌধুরী ও মেহেদী হাসানরা দেখছেন ভবিষ্যতে জাতীয় দলে খেলার। ২০১৪ সালে সিটি ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে খেলেছেন, ৪ ম্যাচে পেয়েছেন সেবার ৯ উইকেট। তবে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় জন্ম নেয়া এবাদতের পরিচয় ভলিবল খেলোয়াড়। এই পরিচয়ে বিমানবাহিনীতে চাকরি করে লালন করছেন ভবিষ্যতের মাশরাফি, রুবেল, মুস্তাফিজুরের মতো পেসার হওয়ারÑ ‘এবছর রবি পেসার হান্টে ফরিদপুর থেকে নিবন্ধন করে নির্বাচিত হয়েছি। বিসিবি এবং রবি সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে বলে এখানে আমি এবং নুর আলম সাদ্দাম হোসেন এখানে আসতে পেরেছি। এইচপিতে এসে অনেক ভালো লাগছে। আমার টার্গেট জাতীয় দলে খেলা। সামনে তো বিপিএল, বিসিএল, এনসিএল আছে। এখানে সুযোগ পেলে আর ভালো করতে পারলে আমার জন্য ভালো হবে। এখান ভালো কিছু শিখতে চাই যা ভবিষ্যতে কাজে আসবে।’
খুলনার হয়ে সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে দারুন ব্যাটিং করেছেন মেহেদী হাসান। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ও দ্যুতি ছড়িয়েছেন। ধারাবাহিক পারফরমেন্সে হাই পারফরমেন্স স্কোয়াডে বিবেচ্য হওয়াকে দারুন একটি প্লাটফর্ম হিসেবে দেখছেন এই তরুনÑ‘আমি তো প্রথমবারের মতো এই ধরণের প্রোগ্রামে এলাম। যদি ফিটনেসের লেভেলটা বাড়াতে পারি, স্কিলে আরো উন্নতি করতে পারি তাহলে বিপিএল, বিসিএল, এনসিএল আছে সামনে। আমি শেষ প্রিমিয়ার লিগে যেসব ভুল করেছি ওসব শুধরে নিতে চাই। ধাপে ধাপে পারফর্ম করে জাতীয় দলে খেলতে চাই।’ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের গন্ডি পেরিয়ে আসা টপ অর্ডার সাইফ হাসান এই ক্যাম্পকে দেখছেন ভবিষ্যত সাফল্যের সিঁড়ি হিসেবেÑ‘এখানে সিনিয়র কিছু ক্রিকেটারও আছেন। তাদের সাথে প্রায় দুই মাস এক সাথে থাকবো। তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করবেন। তাছাড়া এখানে বড় বড় কোচরা আছেন। এখানকার প্রশিক্ষণ নিশ্চয়ই সামনের টুর্নামেন্টগুলোতে কাজে লাগাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।