বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সরকার ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করেছে। এর পর উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিনা এমন নিশ্চয়তা নেই। আর কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তাও বলা যাচ্ছে না। এতে ময়মনসিংহের ফুলপুরে খেটে খাওয়া মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। একদিকে পরিবার-পরিজন, অন্যদিকে আয়-রোজগার বন্ধ। নিম্নবিত্তদের অনেকেই সরকার ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে যেটুকু খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন, তারা বাকি সময়টা কীভাবে চালাবেন তা নিয়ে তাদের ভাবনার শেষ নেই। অন্যদিকে মধ্যবিত্তরা দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন। যেটুকু সঞ্চয় ছিল, তাও বসে বসে খেয়ে শেষের পর্যায়ে পৌঁছেছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন মানুষের মাঝে দুশ্চিন্তা এখন বাসা বেধেছে। ফুলপুরে সব কিছু বন্ধ থাকায় মুঠো শ্রমীকরা (কুলি) অলস সময় কাটাচ্ছে। তাদের আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
আব্দুল কাদের নামে এক রিকশাচালক জানান, এখন রিকসা চালানো সমস্যা।তাই আয় রোজগার নেই। সীমিত আকারে একটু চলাচলের কারণে আয়ও সীমিত হয়ে গেছে। অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দৈনিক দিনমজুর হিসেবে যারা কাজ করতেন, তারাও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তারা প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করতেন। তাদের চোখ-মুখে হতাশার ছাপ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চালক ও তাদের সহকারীদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তারাও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন গুনছেন, কবে নাগাদ চালু হবে পরিবহন। তাদের যে সামান্য পুঁজি ছিল, তা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
মোটর ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকসা সহ বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জানান, উপজেলায় কয়েকশ বাস, মিনিবাস, সিএনজি, অটোরিকসা ও মাইক্রোবাসচালক রয়েছেন।সেই সাথে রয়েছে নির্মাণ শ্রমিক ও তাদের সহকারী শ্রমিক। তারা এখন বেকার। খাদ্য সহায়তার জন্য শ্রমিকের তালিকা করা হচ্ছে বলেও জানান।
হোটেল কর্মচারীরা দিনমজুরি হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে সব হোটেল বন্ধ। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুইবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া ছোট ছোট চায়ের দোকান মালিক-কর্মচারী, ফেরিওয়ালা, ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতারাও বিপাকে।
এ ব্যাপারে ফুলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, করোনার প্রভাবে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষকে সরকারি সহায়তা হিসেবে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। যারা পাননি, তাদের পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়েও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।