বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘরবন্দিতে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে চাটগাঁবাসী। চার দেয়ালে যাপিত জীবন মানিয়ে নিতে তেমন অসুবিধা হচ্ছে না অনেকের।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতাও কমে গেছে। কিশোর যুবকেরা সুবোধের আচরণ করছে। আগের মতো সুযোগ বুঝে হুটহাট রাস্তায় নেমে পড়া কমছে ।
মহামারী থেকে মানুষের জীবন রক্ষায় নেওয়া এ ব্যবস্থার সাথে খাপ খাওয়াতে প্রশাসনের চেষ্টার কমতি নেই।
তবে মুক্ত স্বাধীন লাখ লাখ মানুষকে এক নোটিশে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া অত সহজ ছিলো না।
চট্টগ্রামে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত জেলা এবং মহানগরীতে ৩৪ জন আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। মারা গেছেন পাঁচ জন।
চট্টগ্রামের ১৪ টি এলাকায় সংক্রমণ ধরা পড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সামাজিক সংক্রমণ চলছে। এতে করোনাভাইরাস নিয়ে উৎকন্ঠার কারণে মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত হচ্ছে। এতো দিন যারা উদাসীন ছিলেন তারাও শঙ্কিত।
তবে কিছু ব্যতিক্রম ও আছে। অনেকে এখনও হাটে বাজারে জটলা করছেন। বাজার অথবা জরুরি প্রয়োজনের অজুহাতে রাস্তায় ঘুরছেন।
হাট বাজারের মতো টিসিবির পণ্য এবং ন্যায্যমূল্যের পণ্যের গাড়ি ঘিরে মানুষের জটলা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ত্রাণ ও সাহায্য পেতে রাস্তায় নেমে আসা হত দরিদ্র মানুষের মধ্যে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে।
কেউ আবার মহা দুর্যোগে পিকনিক তথা ভূরিভোজের মতো অমানবিক কাজ করছেন। করছেন দলবেঁধে নৌকা ভ্রমণ।
তবে এদের সংখ্যা হাতে গোনা।
বেশির ভাগ মানুষ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে। তারা মহামারী থেকে নিজেদের সুরক্ষা নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। নিজেরা পাড়া মহল্লায় জটলা ঠেকাতে কাজ করছেন। এলাকায় অপরিচিতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সংক্রমণ সনাক্ত হওয়ার পর যে সব এলাকা লকডাউন করা হয়েছে সেখানে সাধারণ মানুষ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। তারা তা মেনে চলছন।
কেউ আবার বন্দিত্ব মানতে পারছেন না।জীবনের কষ্টের কথা লিখছেন ফেসবুকে। এভাবে আর কতদিন এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন কেউ ।
তবে এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ ঘরেই আছেন। তারা ঘরবন্দি যাপিত জীবন মেনে নিয়ে দিবস রজনী পার করছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন ঘরে ঘরে। কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করছেন। রাত জেগে ইবাদত করছেন অনেকে।
একঘেয়েমি কাটাতে বাড়ির সামনে, ছাদে কিংবা বারান্দায় বসে পরিবারের সদস্যদের সাথে গল্প আড্ডায় ব্যস্ত থাকেন কেউ। প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। সাধ্যমতো অসহায় মানুষের সহায়তা প্রদান করছেন অনেক।
সামনে পবিত্র মাহে রমজান। তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নগরবাসী। রহমত মাগফিরাত আর নাজাতের মাসে মহান আল্লাহর খাস রহমত পাওয়ার আশায় ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল বারো আউলিয়ার শহর চাটগাঁর মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।