বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, গানম্যান কিশোর কুমার সংঘটিত হত্যাকান্ড কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। এ হত্যাকান্ড গানম্যানের ব্যক্তিগত দায়। আইন অনুযায়ী তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, গানম্যান কিশোর গত তিন দিন ডিউটিতে ছিল না। সরকারি অস্ত্র জমা না দিয়ে অপরাধ করা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কৃত অপরাধের শাস্তি তাকে অবশ্যই পেতে হবে।
প্রসঙ্গত, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গানম্যান কিশোরের গুলিতে ১ যুবক নিহত ও অপর যুবক আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আশুলিয়ার শিমুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় কিশোর তার বন্ধুর বাসায় অবস্থান করছিল। তার হেফাজত থেকে গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মন্ত্রীর গানম্যান পুলিশের এএসআই কিশোর কুমারের গুলিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে শহীদ নামে ১ যুবক নিহত ও মইন উদ্দিন নামে এক যুবক আহত হয়। তাদের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার আজগানা খারাপাড়া গ্রামে। নিহত শহিদ ওই গ্রামের সবুর উদ্দিন ও আহত মইন উদ্দিন একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। কিশোর কুমারের বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া ও তার শ্বশুরবাড়ি মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটি আদালতপাড়া এলাকায়। আহত মঈনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোর কুমার, শহিদ ও মইন পরস্পরের বন্ধু। রাতে তারা ওই এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন। পুলিশের ধারণা, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বা নেশাগ্রস্ত হয়ে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে কিশোর তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে শহিদ ও মইনকে গুলি করেন। এতে শহিদের বুকে গুলি লাগলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। মইনের পেটের এক পাশে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলির শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে আসলে কিশোর পালিয়ে যান। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ মইনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গুলিতে নিহত শহিদের লাশ উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার ও মির্জাপুর থানার ওসি সায়েদুর রহমান জানান, কিশোর কুমারকে গ্রেফতার করতে রাতেই তার শশুর বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই কিশোর কুমার পলাতক ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।