দেশের দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ‘কভিড-১৯’ রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এক নার্স সহ বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে মোট প্রায় ৩০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হবার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনাতে মারা গেছেন ৩জন। শুক্রবার মধ্য রাতে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার লক্ষন নিয়ে কলাপাড়ার এক মহিলার মৃত্যু হয়। তবে তার রক্তের নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক নার্স সহ ১৭ জন চিকিৎসাধীন ছিল। যাদের মধ্যে ৭ জনের রক্তের নমুনায় কোরনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকালে সুস্থ্য হয়ে একজন এ হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। এছাড়া বরিশালের সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালগুলোতে আরো ১৫ জন এবং পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে ১ জন করে ও বরগুনাতে ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।

এদিকে শুক্রবার সন্ধার পূববর্তি ২৪ ঘন্টায় পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো ৫১৮ জন সহ হোম কোয়ারিন্টিনে ছিল ৬ হাজার ৬৬৫ জন। ইতোমধ্যে আরো ৩ হাজার ২০৮ জন সুস্থবস্থায় কোয়ারন্টিন শেষ করেছেন। যার মধ্যে ২৪ ঘন্টায় কোয়ারন্টিন শেষ করেছেন ৪০ জন।

গত সপ্তাহে নারায়গঞ্জ থেকে বিভিন্ন পথে দলে দলে মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে চলে আসার পরেই এ অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হবার পাশাপাশি এর সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়তে থাকে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে পুলিশ-প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করায় হোম কোয়ারিন্টিনের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও যে পরিমান মানুষ প্রতিদিন এ অঞ্চলে আসছে, সে তুলনায় কোয়ারিন্টিন নিশ্চিত হচ্ছে না।

তবে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে পুলিশÑপ্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রশাসনও এ ব্যপারে বর্তমানে অনেকটা সচেতন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে তরমুজ নিয়ে যেসব ট্রলার ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে যাচ্ছে, সেসব নৌযানেই ফিরতি পথে নারায়নগঞ্জ এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশু দলে দলে ফিরছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু মানুষকে আটকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।