বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে পরিচয় গোপন করে চিকিৎসা নিতে যাওয়া একজন রোগীর স্বজনদের মিথ্যা তথ্যের কারণে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ উন নবী।
তিনি জানান, সংক্রমিত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালে কর্মরত সার্জারি ও গাইনি বিভাগের পাঁচজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও তিনজন অন্য স্বাস্থকর্মী। তিনি জানান, গত শনিবার সার্জারি বিভাগে ভর্তি হওয়া একজন রোগীর অস্ত্রোপচার হয়, সে অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তারা সবাই আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত এক চিকিৎসক বলেন, ‘গত শনিবার সার্জারি বিভাগে একজন রোগী আসে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেদিনই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। রোগীরা স্বজনরা তাদের কে জানিয়েছিলেন, তারা মাদারীপুর থেকে এসেছেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষে জ্ঞান ফেরার পর রোগীকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। পরে চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। পরের দিন জানা যায়, রোগী করোনা পজিটিভ। তখনই ইমার্জেন্সি ওটি এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়। আমরা যারা সে রোগীর সঙ্গে ছিলাম তারা হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যাই। নিজেদের টেস্ট করাই। কিন্তু যেটা রিপোর্ট এলো, তার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না আমরা। আমাদের চারজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও তিনজন বয় কোডিভ পজিটিভ। আরও কয়েকজনের রিপোর্ট কাল আসবে।’
যারা পজিটিভ তাদের পরিবারও এখন ঝুঁকিতে এবং তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু একটা মিথ্যা তথ্যের জন্য এতগুলো মানুষ আজ ঝুঁকিতে। দয়া করে কেউ হাসপাতালে এসে মিথ্যা বলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন করবেন না।’
উল্লেখ্য যে,নারায়ণগঞ্জকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের অন্যতম ক্লাস্টার হিসেবে ঘোষণা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।