Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অজানা ‘আতঙ্কে’ নগরবাসী

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫১ পিএম

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিনিয়ত করোনো রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। মহামারী ছড়ানো ঠেকাতে সরকার ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকার আহŸান জানিয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে গার্মেন্টসগুলোও। তারপরও গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাজপথে নেমে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এমন আন্দোলনে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে শ্রমিকদের দাবি বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বাধ্য হয়েই সড়কে নামতে হচ্ছে তাদের। আর বিষয়টি মানবিকভাবে দেখছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। 

গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর মতিঝিল, আদাবর, দক্ষিণখান, কমলাপুর, মিরপুর, বিমানবন্দরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় বিচ্ছিন্নভাবে গতকালও পাওনা আদায়ের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
মতিঝিল থানার এসআই তৈয়ব আলী জানান, কমলাপুরের বিশ্বাস টাওয়ারের কাছে বিন্নী গার্মেন্টস ও সর্দার গার্মেন্টসের কয়েকশ পোশাক শ্রমিক বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। সর্দার গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ পরে এসে বেতন দিতে শুরু করলে শ্রমিকরা শান্ত হয়। আর বিন্নী গার্মেন্টসের মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারাও শ্রমিকদের বেতন দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ স্থগিত করে।
এছাড়া গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিরপুর এলাকার রূপনগরের মনির ফ্যাশন গার্মেন্টের শতাধিক শ্রমিক প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে তারা ওই কারখানার ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এছাড়া গতকাল সকাল ১১টার দিকে বকেয়া বেতন ভাতা ও জরুরি ত্রাণ সহায়তার দাবিতে বিমানবন্দর গোল চত্বর এলাকার সড়ক অবরোধ করেন উত্তরা দক্ষিণখান এলাকার রেদওয়ান, সিএনবি ও স্যার ডেনিম গার্মেন্টসের কর্মীরা। শুধু তাই নয়, রাজধানীর আদাবর এলাকায়ও বকেয়া পাওনার দাবিতে ফ্যালকন ইন্টারন্যাশনাল নিট কম্পোজিটের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।
এদিকে, গার্মেন্টস শ্রমিকের আন্দোলনে রাজধানী ঢাকায় করোনাভাইরাস বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন নগরবাসী। রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা পলাশ মিয়া জানান, তাদের এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে করোনা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারপরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে দেখা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক সজুয় সরকার জানান, শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য রাস্তা নেমে আসে। পরে মালিক ও উভয় পক্ষের সাথে বিষয়টি মিসাংসা করে দেয়া হয়। তবে শ্রমিকরা যাতে রাস্তায় না নামতে পারে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত গার্মেন্টস শ্রমিকদের ব্যাপারে এমন কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত আসেনি।
ডিএমপির এসি (মিডিয়া) মফিজুর রহমান পলাশ জানান, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা হচ্ছে। তাদের বেতন-ভাতার জন্য রাস্তায় নেমে আসে। তবে খবর পেলেই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং সংশ্লিষ্ট মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। তবে এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শ্রমিকদের বলা হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ