Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে চিকিৎসা নিয়েও সঙ্কট

ফুরিয়ে গেছে কিট!

রফিকুল ইসলাম সেলিম : | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫১ পিএম

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ফুরিয়ে গেছে শনাক্তকরণ কিট। সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থাও নানা সঙ্কট চলছে। এতে এই অঞ্চলের মানুষ জরুরি চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগও বাড়ছে।
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই নতুন রোগী বাড়ছে। এ অবস্থায় বেশি পরীক্ষা জরুরি হলেও কিটের সঙ্কট চলছে। বার বার তাগাদা দিয়েও মিলছে না বরাদ্দ। ফলে এই অঞ্চলের এক মাত্র পরীক্ষাগার বিআইটিআইডিতে টেস্ট বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ আইইডিসিআর থেকে দেওয়া ৮৫০ টিসহ ১১০০ টির মতো কিট ছিলো। এ পর্যন্ত সেখানে ১০১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে বিআইটিআইডির পরিচালক প্রফেসর ডা. এম এ হাসান চৌধুরী গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, কিটের সঙ্কট নেই, কিছু আছে ঢাকা থেকে আরও আসছে। নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হবে না।
এদিকে সরকারি তরফে সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়ার কথা বলা হলেও আতঙ্কে চিকিৎসাসেবা থেকে এখনও দূরে বেশির ভাগ চিকিৎসক। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। সীতাকুন্ডের একজন মুক্তিযোদ্ধাসহ গত কয়েক দিনে অনেকে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন বলে স্বজনদের অভিযোগ। করোনা আক্রান্ত হয়ে যে চার জন মারা গেছেন তারাও শুরু থেকে চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ আছে। তারা করোনা শনাক্ত হওয়ার আগেই মারা যান। সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতেও চিকিৎসকের সঙ্কট। ব্যক্তিগত চেম্বারেও রোগী দেখা বন্ধ রেখেছেন বেশিরভাগ চিকিৎসক। জরুরি চিকিৎসা পেতে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। কিছু কিছু চিকিৎসক টেলিফোনে কিংবা দূর থেকে রোগী দেখে ব্যবস্থা পত্র লিখে দিচ্ছেন।
বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বলেন, চিকিৎসা স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল চমেক হাসপাতালে ১৩০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন, ৫৬টি জরুরি অপারেশন হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ৩২ জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন ২৮ জনই শঙ্কামুক্ত। তাদের চার জন বিআইটিআইডিতে, ১৫ জন জেনারেল হাসপাতালে এবং বাকিরা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ