বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যত বেশী পরীক্ষা করা সম্ভব হবে ততই বেশী করোনার সংক্রমন থেকে নিরাপদ থাকা যাবে।এ লক্ষে সরকার দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলি ছাড়াও গতকাল ৪টি সক্ষমতা সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা সনাক্তকরন পক্রিয়া হাতে নিয়েছে ।বরিশাল বিভাগের ৫ টি জেলার মধ্যে শুধূমাত্র মাত্র বরিশাল মেডিক্যাল কলেজে সপ্তাহ খানেক আগে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরন পরীক্ষা চালু করা সম্ভব হয়েছে।বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ,যদিও মেডিক্যাল কলেজটি এখনও তার স্থাপনাগত সমস্যার কারনে পরিপূর্নতা না পেলেও ২০১৪ সালে ভর্তি কৃত শিক্ষার্থীরা শেষবর্ষ অতিক্রম করেছে ইতোমধ্যে এখান থেকে।
বর্তমান পরিস্থীতিতে দেশে রয়েছে করোনা সনাক্তকরন ল্যাবের সংকট। এক্ষেত্রে জরুরী প্রয়োজনে দেশের দক্ষিন জনপদে অবস্থিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলোজি ল্যাবটিতে বিদ্যমান সরঞ্জামের পাশাপাশি অতিপ্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জামাদি সংযুক্ত করনের মাধ্যমে করোনা শনাক্তের কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের অভিমত।
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিনে কৃষি নির্ভর এ জেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের কৃষি গবেষণায় অনন্য ভূমিকা রেখে চলছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি উন্নতমানের ল্যাবরেটরি। এর মধ্যে প্লান্ট বায়োটেকনোলজি ল্যাবটিতে রয়েছে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরনের কাজে ব্যবহৃত হয় এমন বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ও ক্যামিকেল। ভাইরাসটি শনাক্তকরনের ক্ষেত্র প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলোর মধ্যে এ বায়োটেকনোলজি ল্যাবরেটরিটিতে রয়েছে স্ট্রেরাইল টিউব, অটোক্লেভ মেশিন, ডিস্টিলাইজেশন ফ্যাসেলিটি(সুবিধা), ডি-আয়োনাইজেশন ফ্যাসেলিটি, ক্লিনভে›জ, স্পেকট্রোফটোমিটার, স্পেকট্রোক্লোরোমেট্রিক ফ্যাসেলিটি, সেন্ট্রিফিউজ মেশিন, ইলেকট্রোপোরোসিসের সুবিধা, ট্রান্স-ইলোমিনেশন সুবিধা, মাইনাস ২০ ডিগ্রী ও মাইনাস ৮০ ডিগ্রীর ফ্রিজার। এ ল্যাবে কাজ করা হয় পিসিআর মেশিন দিয়ে। তবে করোনা শনাক্তে দরকার এর থেকে উন্নত ভার্সনের রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্ট পিসিআর বা আরটি-পিসিআর।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে বায়োসেফটি-১ ব্যবহ্রত হচ্ছে,করোনা সনাক্ত করনের জন্য প্রয়োজন বায়োসেফটি-৩। এছাড়াও অবকাঠামোগত সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ক্যামিকেলস রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ও বিশিষ্ট কৃষি গবেষক ড.মাহবুব রব্বানী। দেশের জরুরী প্রয়োজনে বায়োসেফটি লেভেল বাড়িয়ে কয়েকটি যন্ত্র ও রি-এজেন্ট সংযোজিত করে এ ল্যাবটিকে করোনা শনাক্তের পরীক্ষাগার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে বলেও জানান তিনি।তিনি আরো জানান,পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে,যদিও তারা নতুন অবস্থায় রয়েছে,আমরা প্রয়োজনে তাদের সাথে একসাথে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি ।এ বিষয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো: হারুনর রশীদ বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর মেশিন সহ আনুষাঙ্গিক কিছু সুবিধাদি রয়েছে,তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকগন ভাল বলতে পারবেন ।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ড প্রফেসর মো:গোলাম রহমান জানান, তাদের মেডিক্যাল কলেজের অবকাঠামোগত সমস্যা বিদ্যমান থাকায় এখন পর্যন্ত মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব পূর্ন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা: মো: শফিকুল ইসলাম বর্তমানে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজে স্থাপিত করোনা সনাক্তকরন ল্যাবে প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।