মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : অভিভাবকহীন অন্তত ১০ হাজার শরণার্থী শিশু ইউরোপে পৌঁছার পর নিখোঁজ রয়েছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অপরাধবিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা ইউরোপোলের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। ইউরোপোলের প্রধান ব্রায়ান ডোনাল্ড জানিয়েছেন, হাজার হাজার শরণার্থী শিশু ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তাদের আর হদিস মিলছে না। কেবল ইতালিতেই পাঁচ হাজার শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া সুইডেনে খোঁজ নেই আরো এক হাজার শিশুর। তা হলে কি ইউরোপে হারিয়ে যাওয়া ১০ হাজার শরণার্থী শিশুকে যৌনকর্মী বানানো হচ্ছে! এই রিপোর্ট পৌঁছেছে ইউনিসেফের দফতরেও। ইউনিসেফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই শিশুদের দায়িত্ব ব্রিটেনেরই। তবে, এটাও সত্যি যে, যুক্তরাজ্য সরকার ওই শিশুদের ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসন করার সব উদ্যোগ নিচ্ছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, শিশুরা হারিয়ে গেছে। ডোনাল্ড জানান, ইউরোপে শরণার্থীদের যে ঢল নামে, তা অবৈধভাবে ব্যবহারের জন্য ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে অপরাধীচক্র গড়ে ওঠে। শিশুদের কেউ সেই অপরাধীচক্রের হাতে পড়েছে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। ব্রায়ান ডোনাল্ড আরো জানান, হয়তো সংঘবদ্ধ পাচারকারীদের কবলে পড়েছে অসহায় এই শিশুদের অনেকেই। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব শিশু পাচারচক্রের খপ্পরে পড়েছে, যাদের অবৈধ যৌনকাজে এবং দাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে শিশুবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, শুধু ২০১৫ সালেই ইউরোপে প্রায় ২৬ হাজার শরণার্থী শিশু এসেছে। এছাড়া যে ১০ লাখের বেশি শরণার্থী গত বছর ইউরোপে প্রবেশ করেছে, তাদের ২৭ শতাংশই শিশু ও কিশোর। ইউরোপে প্রবেশের পর থেকেই তারা অদৃশ্য হয়ে যায়। সেভ দ্য চিলড্রেনসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা মনে করে, যেসব শিশু অভিভাবক বা পরিবারের বড়দের ছাড়া ইউরোপে পাড়ি দিয়েছে, তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে ছিল এবং আছে। এছাড়া অনেক শিশু তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়া হতে পারেÑ এ আশঙ্কায় লুকিয়ে বেড়ায়। এ সময় তারা পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে যেতে পারে। এদিকে, শরণার্থী সংকটের বিষয়টি সামনে আসার পর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাগুলো। উধাও শিশুদের খুঁজে বের করার চাপ বাড়ছে। গত বছর সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পৌঁছায় ১০ লাখের বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী। ইউরোপোলের প্রধান বলেন, আমরা জানি না ওই শিশুরা কোথায়। তবে, কিছু তথ্যপ্রমাণ দেখে মনে হচ্ছে ওদের যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে অনেককে পাচারও করে দিচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা। কিন্তু, ওই শিশুদের সঙ্গে জঙ্গি ক্রিয়াকলাপের কোনো যোগসাজশ পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে জার্মানি, হাঙ্গেরি এবং ফ্রান্সের বিভিন্ন যৌনপল্লীগুলোতে ইউরোপোল কিছু নিখোঁজ শরণার্থী শিশুর সন্ধানও পেয়েছে। যাদেরকে কয়েক হাত ঘুরে ওই পেশায় আনা হয়েছে। ব্রেন ডোনাল্ডের বক্তব্য অনুযায়ী ইতালিতেই একসঙ্গে ৫ হাজার শরণার্থী শিশু গায়েব হয়ে গেছে, যেখানে সুইডেনে নিখোঁজ ১ হাজার শিশু। তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, অপরাধ চক্রগুলো এখন শরণার্থীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। ওই চক্রগুলো নিঃসন্দেহে ১০ হাজারেরও বেশি শিশুকে পাচার করতে চাইছে। আর এদের সবাইকেই যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লাগানো হবে তা নয়, অনেককেই বিভিন্ন পরিবারে কাজের জন্যও ব্যবহার করা হতে পারে। জানা যাচ্ছে, জঙ্গল এলাকা নয়, ওই শিশুদের রাখা হয়েছে শহরে কিংবা শহরাঞ্চলে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।