বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের সমুদ্র সৈকত এলাকায় সাগরে ভাসমান অবস্থায় ৩৮২ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে জাহাজপুরা ঘাট এলাকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের সবাই উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
উদ্ধার হওয়া মোঃ জাবেদ জানান, তারা ৫৫ দিন আগে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দালালের মাধ্যমের ছোট ছোট ট্রলারে করে সাগরে নোঙর করা একটি বড় জাহাজে উঠেছিলেন। কিন্তু তারা মালয়েশিয়া পৌঁছতে বাধা পেয়ে ফের টেকনাফ উপকূলে ফিরে এসেছেন। তাদের বড় জাহাজটিতে ৪৪০ জন যাত্রী ছিল। তাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু ছিল। এছাড়া ওই জাহাজের ৫০ জন মৃত যাত্রীকে জাহাজের লোকজন সাগরে ফেলে দেয়।উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা মো.জোবাইর বলেন, গত দুই মাস আগে ৪৮২ জন রোহিঙ্গা নিয়ে একটি ট্রলার সাগর পথে মালয়েশিয়ার পথে রওয়ানা দেয়। কিন্তু সে দেশে কড়াকড়ির কারণে ঢুকতে না পেরে এখানে ফিরে আসে। সাগরে এত দিন ভাসমান ছিলাম। এখন ট্রলারে ৩৪২ জন রয়েছে। তাদের ট্রলারে ২৮ জন মারা গেছে। তার বাড়ি টেকনাফ নয়াপাড়া ক্যাম্পে। এদিকে রোহিঙ্গাদের টেকনাফে আসার খবরে পুরো এলাকায় করোনা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে
টেকনাফ স্টেশন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা লে.কমান্ডার এম সোহেল রানা বলেন, রোহিঙ্গা ভর্তি একটি বড় জাহাজ টেকনাফ জাহাজপুরা ঘাট দিয়ে উঠার সময় ৩ শতাধিকের মত রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তারা বেশ কিছু দিন আগে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাত্রা করছিল। কিন্তু সেখানে ভিড়তে না পেরে আবার চলে আসেন। তবে সংখ্যাটা কম বেশি হতে পারে।
টেকনাফ উপজেলার ইউএনও মো.সাইফুল ইসাম বলেন, মালয়েশিয়া ফেরত ৩ শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তারা মালয়েশিয়া যেতে না পেরে ফের ফেরত আসেন। তাদের আগে এক জায়গায় জড়ো করা হচ্চে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তবে বেশির ভাগ নারী ও শিশু ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।