পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোজার আমদানি খাদ্যশস্য ও নিত্যপণ্যের পাহাড় জমেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। জমছে শিল্পের কাঁচামাল যন্ত্রপাতি। আমদানি চালান বোঝাই কন্টেইনার একমুখী খালাসই হচ্ছে। অথচ করোনাকারণে সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় পণ্য ডেলিভারি প্রায় শূন্য।
মাহে রমজানের আর বাকি মাত্র নয় দিন। বন্দরজটের পাহাড়ে মজুদ এখন লাখ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী, ছোলা, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, আদা, পেঁয়াজ-রসুন প্রভৃতি। দুই হাজার ফ্রোজেন কন্টেইনার ভর্তি হরেক প্রকার তাজা ফল-মূল। রোজার আগে সময় আছে অল্প। সারাদেশে পরিবহন, সরবরাহ ও বাজারজাত করে জনগণের চাহিদা পূরণ এবং দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার উপায় কী? বন্দরজটেরই নিরসন কীভাবে? এরসঙ্গে বিশেষত রোজায় ভোক্তা জনগণের স্বার্থ জড়িত। আন্তর্জাতিক বাজারে বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের মূল্য কম থাকায় এবার রোজার চাহিদার চেয়েও বেশি আমদানি হয়েছে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী। অথচ ক্রেতা ভোক্তা সাধারণ কিভাবে পাবেন তার সুফল?
পুরো বিষয়টি এ মুহূর্তে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের ভাবিয়ে তুলেছে। কেননা গতকাল দিনশেষে বন্দরে পণ্যজট আরও জটিল হয়েছে। কন্টেইনার ধারণক্ষমতা ছুঁয়ে গেছে। ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউএস’র (২০ ফুট সাইজ ইউনিট) বিপরীতে জটে আটকে আছে ৪৮ হাজার ১৭৫ কন্টেইনার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩১৬ আমদানি কন্টেইনার খালাস হলেও ডেলিভারি হয় মাত্র ৩৭৪ টি। আবার জেটিতে আমদানি কন্টেইনার খালাস কাজ চলছে আরও ৯টি জাহাজে। সাধারণ কার্গো জাহাজ আছে ৬টি।
গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক ইনকিলাবকে এ প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম অর্থাৎ খালাস, ডেলিভারি পরিবহনের সঙ্গে ২০ থেকে ২৫ ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আমদানি-রফতানিকারক ও ব্যবসায়ীরা যুক্ত। সমন্বিত চেষ্টায় বন্দরের জট নিরসনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বন্দরের ভয়াবহ জট নিরসন করে সারাদেশে পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বন্দর ব্যবহারকারীদের (স্টেক হোল্ডার) নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুরোধে এ সভা ডাকা হয়।
এতে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশ-বিদেশে ৯৫ শতাংশ আমদানি-রফতানি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। এ বন্দর বন্ধ হলে দেশ ও সরকারের হার্ট বন্ধ হয়ে যাবে। কন্টেইনার ডেলিভারি না হওয়ায় জট লেগে আছে। আমরা সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছি। সবার সহযোগিতা পেলে চার দিনের মধ্যে ম্যানেজ করতে পারবো। যে কোন পরিস্থিতি হোক না কেন, দেশের বৃহৎ স্বার্থে বন্দর সচলের জন্য সবারই চেষ্টা করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বন্দর ব্যবহারকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এগিয়ে এলে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক থাকবে।
সমন্বয় সভার সভাপতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড। বন্দর সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের নিজস্ব ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে হবে।
সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তক্রমে বন্দরে জট হ্রাস এবং আমদানি-রফতানি সচলের লক্ষ্যে সাত দফা পদক্ষেপ নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে রয়েছে কাস্টমসের সবধরণের পণ্য ছাড়করণ দ্রুতায়িত করা, ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ খোলা রাখার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি প্রজ্ঞাপন জারি, আমদানি পণ্য সংরক্ষণে ওয়্যারহাউস খোলা রাখার ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা, বন্দরমুখী ও বন্দর ছেড়ে যাওয়া সবধরণের যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।