বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর থাবায় পুরো বিশ্ব যেখানে থমকে আছে, ঠিক সেই মুহূর্তে বাড়ি ভাড়ার চাপে দিশেহারা খুলনা নগরীর মধ্যবিত্ত, দিনমজুরসহ অনেক ভাড়াটিয়ারা। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। মাস শুরু না হতেই ভাড়ার টাকার জন্য জন্য চাপাচাপি শুরু করেছেন খুলনা নগরীর ভবন/ফ্ল্যাট মালিকরা। এতে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক ভাড়াটিয়া পরিবার। মাসের অর্ধেক শেষ হলেও এখনো ভাড়ার টাকা শোধ করতে পারেননি অনেকেই।
সূত্র বলছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাস করেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ লোকই অন্যের ঘরে ভাড়ায় থাকেন। অঘোষিত লকডাউনের প্রভাবে যখন দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট, ঠিক সেই মুহূর্তে বেসরকারি চাকরিজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান ও বাসা ভাড়ার চাপে ভুলে গেছেন করোনাভাইরাসের কথা। বাধ্য হয়ে অনেকেই রাস্তায় নেমেছে ভাড়া যোগানোর আশায়। খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার ভাড়াটিয়া মানুষের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার এক ভাড়াটিয়া জানান, তাদের বাবা অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য পরিবার নিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এসে ভাড়াবাসায় উঠেছেন। তারা কেউ টিউশনি করে, কেউ ক্ষুদ্র চাকরিজীবী। কিন্তু করোনার কারণে চলতি মাসের মাঝখান থেকে তাদের টিউশনি বন্ধ, অন্যজনের চাকরি বর্তমানে বন্ধ। মাস শেষ বেতন পাওয়া অনিশ্চিত। কিন্তু মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য পীড়াপীড়ি করছে।
খুলনা নগরীর বেশ কয়েকজন ভাড়াটিয়ার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, তাদের সবারই কর্মস্থল বন্ধ। নিজেরা হয়ে আছেন ঘরবন্দি। তাই আয়-রোজগারও নেই। খাবারের ব্যবস্থা করতেই তাদের হিমশিম অবস্থা। তাই মানবিক বিবেচনায় তারা বাড়ির মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, অন্তত এপ্রিল মাসের ভাড়া যেন মওকুফ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।