Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সখিপুরের জঙ্গলে ফেলে যাওয়া সেই মা করোনা আক্রান্ত নন

ফেলে যাওয়ার কথা অস্বীকার করলো সন্তান

সখিপুর (টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ৯:০২ পিএম

টাঙ্গাইলের সখিপুরে রাতে গজারি বনে ফেলে যাওয়া ওই মা করোনা আক্রান্ত নন বলে জানা গেছে। ওই মা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) বেলা তিনটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শাহীনুর আলম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ওই নারীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন দাবি করেন- তাঁর মা ২১ দিন আগে শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার ঢনঢনিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। আমার মা একজন মানসিক রোগী। তাই মাকে করোনা সন্দেহে সখিপুরের জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমার বাবার নাম শাহমত। তিনি বাড়িতেই থাকেন। দুই বোন শাবানা ও শাহানার বিয়ে হয়েছে। তারা কোনো চাকরি করেন না। শুধু আমি গাজীপুরে গার্মেন্টসে চাকরি করি। মা যা বলেছেন তা সঠিক নয়। মঙ্গলবার টেলিভিশনে ছবি দেখে আমি আমার মাকে শনাক্ত করি। আজ বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে আমি আমার মায়ের কাছে যাব।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত সোমবার রাত আটটার দিকে বনের ভেতর থেকে এক নারীর কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয়রা আমাকে খবর দেয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকার লোকজন ওই নারীর কাছে যান। ওই নারী তাঁর ছেলেমেয়েরা কিভাবে তাঁকে জঙ্গলে ফেলে গেছেন, সেই কাহিনি বলেন। পরে রাত ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে খবর দেওয়া হয়।

সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহীনুর আলম বলেন, সন্তানরা বনে ফেলে যাওয়া ওই মায়ের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে ওই নারীকে আরও কয়েকদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনেই রাখা হবে। আরও নিশ্চিত হতে তিন-চারদিন পর দ্বিতীয়দফায় আবার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হবে।

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার ওসি বশির আহমেদ বাদল বলেন, ওই মহিলার বাড়ি নালিতাবাড়ী নয় তবে তাঁর বাড়ি শ্রীবর্দী উপজেলায়। শুনেছি ওই নারী গত ২৩ মার্চ নিখোঁজ হন। তবে এ বিষয়ে ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে নিকটস্থ থানায় কোনো জিডি করা হয়নি।
এ বিষয়ে সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, আমার মনে হয় ওই ছেলে সত্য বলছেন না।
তাঁর মা প্রায় ২০ দিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে তবু কেনো সে জিডি করেননি। এতে আরো সন্দেহ প্রকট হয় ওই নারীর ছেলে ছানোয়ার মিথ্যা বলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ