বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তিন বছরের ছোট মেয়েটি পরিবারের সবার নয়নের মণি। আদর সোহাগে কাটছিলো দিন। হঠাৎ সবকিছুই যেন পাল্টে গেলো। করোনা ঝড়ের কবলে সে এখন নীড় হারা পাখির মতো।
প্রথমে বাবার শরীরে ধরা পড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। বাবা চলে যান হাসপাতালে। এরপর মা ভাই বোন সহ আরো চারজন আক্রান্ত । নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর পুলিশ তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য নিতে আসে। বিপাকে পড়তে হয় তাদের। সবাই চলে গেলে শিশুটির কী হবে। কার কাছে থাকবে সে। এমন ঘটনা নগরীর সাগরিকা এলাকায়।
প্রথমে শিশুটির বাবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই পরিবারের আরও চার সদস্যের নমুনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে মঙ্গলবার রাতে।
এরপর শিশুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়তলি থানার ওসি মো. মাইনুর রহমান উদ্যোগী হয়ে শিশুটিকে তার এক মামার কাছে রাখার ব্যবস্থা করেন।
গত ৮ এপ্রিল ওই পরিবারের কর্তা নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি গার্মেন্টেসের কর্মকর্তার শরীরে করোনভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার আসা জানা যায়, তিন বছরের ছোট মেয়েটি ছাড়া বাকি সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
এরপর ওই পরিবারের সদস্যদের চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু ছোট মেয়েটিকে কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।
পাহাড়তলী থানার ওসি মাইনুর রহমান বলেন, যখন এই বিষয়টি জানতে পারি তখনই চিন্তায় পড়ে গেলাম। জেনারেল হাসপাতালে থাকা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি জানান তাদের আত্মীয় স্বজনরা কেউ শিশুটিকে রাখতে রাজি হচ্ছে না। এরপর আমি যোগাযোগ শুরু করি। শেষে খোঁজাখুঁজি করে এক মামাকে পাই অনেক রাতে। তাকে বুঝিয়ে মেয়েটিকে রাখতে রাজি করাই।
এরপর রাত প্রায় দেড়টার দিকে ওই পরিবারের বাকি চার সদস্যকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওসি জানান শিশুটির অবস্থান জানাজানি হলে ওই এলাকার লোকজন হয়ত আপত্তি জানাতে পারে। শিশুটির ভালো থাকাটাই জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।