Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঘরবন্দি পহেলা বৈশাখ নিয়ে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ৮:১৬ পিএম

পহেলা বৈশাখ, বাংলা বছরের প্রথম দিন। প্রতিবছর এই দিনটিকে ঘিরে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ মেতে উঠে নানা উৎসব ও আয়োজনে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে চলছে এখন বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯। করোনা ভাইরাসের কারণে ছড়ানো এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যেই লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় বিশ লাখ। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যাটা গাণিতিক হারে বেড়েই চলেছে। ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও গত বিশ দিন ধরে চলছে লকডাউন। ফলে ঘরবন্ধি অবস্থায় সবাই পালন করছে পহেলা বৈশাখ। নিজেদের অনুভুতি প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লিখেছেন ঘরবন্ধি বৈশাখের কথা। কেউ কেউ সেখানে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আবার কেউবা পুরাতন ছবি বা স্মৃতি শেয়ার করছেন। আবার কেউ কেউ এবারের পহেলা বৈশাখকে দেখছেন অন্যভাবে।

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষিকা শাপলা সিংহ তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘আগত এ বৈশাখ সবার জীবনে তেমন স্নিগ্ধ সুন্দর মধুর হয়ে থাক। পুঞ্জিত পুরাতন বেদনা দ্বারে আনন্দ এসে দাঁড়াক, দুঃখ ভোলাক সুখ স্পর্শ। শুভ নববর্ষ ১৪২৭।’

নবাগত চিত্রনায়িকা রোদেলা জান্নাত লিখেন, ‘শুভ নববর্ষ ১৪২৭। নববর্ষ উদযাপন করতে না পারলেও ঘরে বসে মনে প্রাণে নববর্ষকে বরণ করবো..সবাই ঘরে থাকবেন..ভালো থাকবেন। উৎসব হবে পরিবারের সাথে।’

সঙ্গীতশিল্পী সুমি মির্জা লিখেন, শুভ নববর্ষ। ঘরে থাকুন নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করুন।’

ঘরোয়াভাবে আয়োজিত বর্ষবরণের ছবি শেয়ার করে রাফিয়া আহমেদ ক্যাপশনে লিখেন, ‘মায়ের পছন্দ মতো সেজেছি। মা আমাকে চুপচাপ, গুম হয়ে বসে থাকতে দেখতে চায় না। তাই সকাল থেকে আমার জন্য এই আয়োজন। খুব খারাপ লাগছে অনেক কথা মনে পরছে কিন্তু.... তবুও সবাইকে জানাই নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। পুরো বিশ্বে শান্তি বয়ে আনুক। আল্লাহ যেনো সকলকে ভালো রাখে। শুভ নববর্ষ।’

বিগত বছরের পহেলা বৈশাখের ছবি আপলোড করে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেন, ‘এই নববর্ষ শুভ নয়, তাই কাউকে বলিনি- শুভ নববর্ষ। নববর্ষ মানেই বাঙালির 'বাঁধনহারা প্রাণ, পাগলপারা প্রাণ' আজ কোথায়! তাই খুলেছি স্মৃতির অ্যালবাম। নববর্ষ শুভ হোক সবার।’

এবারের বৈশাখকে ভিন্নভাবে দেখছেন সাংবাদিক আক্তার হোসাইন। তিনি ফেইসবুকে লিখেন, ‘ক্ষমা করো বন্ধু, করোনায় লাশ ও শকুনের চাল চুরির মাঝে দাঁড়িয়ে তোমাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে পারি নি বলে।’

পহেলা বৈশাখ ও করোনা নিয়ে মমিনুল ইসলাম লিখেন, ‘থ্যাংকস করোনা। অন্তঃত এবছরের জন্য বর্ষবরণের নামে দেশব্যাপী নারী-পুরুষের প্রকাশ্য বেহায়াপনা আর বাঙালি সংস্কৃতির মোড়কে বস্তাপচা হিন্দুয়ানি অপসংস্কৃতির দাপট দেখতে হলো না। আলহামদুলিল্লাহ- এইদিনে এর চেয়ে ভালো লাগার বিষয় আর কি হতে পারে? গোটা বাংলার মুসলিম সমাজ যে অশ্লীলতা আর পাপাচার বন্ধ করতে পারতো না, মহান রবের ইচ্ছায় এক অদৃশ্য করোনায় এই ধরনের অনেক পাপাচার আজ বন্ধ হয়ে গেল। অন্তঃত আমার কাছে ব্যক্তিগত হাজার কোটি টাকার সম্পদ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেয়ে এই দৃশ্য বহুগুনে সুখকর। আলহামদুলিল্লাহ। তাই একজন সত্যিকারের মুসলিমের জন্য করোনা কখনই আতঙ্কের বা ক্ষতির কিছু নয়। বরং পরিপূর্ণ রহমত ও নিয়ামতের এবং মুসলিম কর্তব্যের সহায়ক। কারণ এজন্যই যে, সারা বিশ্বে যেসব পাপাচার বন্ধে মুসলিমদের ভূমিকা রাখার দায়িত্ব ছিলো, করোনা দিয়ে তা আল্লাহ খুব সহজেই সফল করেছেন। অন্যদিকে, করোনাকালে পরিপূর্ণ ইমান ও আমল এবং ধৈর্য্য সহকারে টিকে থাকলে আল্লাহর ইচ্ছায় এই করোনা বিনাযুদ্ধে শাহাদাতের মতো মহিমান্বিত ও বহুল আকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এনে দিতে পারে আমাদের। হে দয়াময় আল্লাহ, সার্বক্ষণিক তুমিই আমাদের একমাত্র আশা-ভরসা। রহমত ও নেয়ামতের বাইরে তুমি আমাদের জন্য মন্দ কোনো কিছুই রাখো নি। এজন্যই তুমি অসীম দয়ালু করুনাময় সর্বশক্তিমান। সকল প্রশংসা কেবল তোমারই। আলহামদুলিল্লাহ।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ