পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় করোনার উপসর্গ জ্বর ও শাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যক্তির (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মহাশ্রাদ্ধি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই ব্যক্তির বাড়ি পাশের গলাচিপা উপজেলার পশ্চিম পাতাবুনিয়া গ্রামে।

মারা যাওয়া ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত পাঁচদিন আগে ওই ব্যক্তি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকা থেকে শশুরবাড়ি আসেন। রোববার থেকে তার শরীরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। করোনা আতঙ্কে ওই ব্যক্তি ঘর থেকে বের হননি। স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেয়েছেন। সোমবার দিবাগত ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশি একজন বলেন, তার কাশিতে অনেক দুর্গন্ধ ছিল। আর করোনার উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর খবর পেয়েও ওই বাড়িতে কেউ যাচ্ছে না। সবার মত আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, লাশ ওই বাড়িতেই দাফন করা হউক। আর ওই বাড়িসহ মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদেরকে চিহ্নিত করে লকডাউন করা খুব জরুরী।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন,‘ওই ব্যক্তির অসুস্থ’ হওয়ার তথ্য কেউ তাদেরকে জানায়নি। এমনকি মারা যাওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে তাদেরকে জানানো হয়নি। আর মারা যাওয়ার তিন ঘন্টার পরে মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে লাভ নেই। তাই মারা যাওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা ছিলেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন,‘করোনায় আক্রান্ত রোগী মারা যাওয়ার পরে যে প্রক্রিয়ায় লাশ দাফন করা হয়, এই ব্যক্তির লাশও একই প্রক্রিয়ায় দাফন করা হচ্ছে। আর ওই ব্যক্তির সংস্পর্ষে যারা ছিলেন তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির স্বজনদের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হলে গোটা এলাকা লকডাউন করা হবে।’