Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারের ইসলামপুরে লকডাউনেও লবণ মিল খোলা

আসছে নারায়নগঞ্জের শ্রমিকরা, করোনা সংক্রমনের শঙ্কায় স্থানীয়রা

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ৪:০১ পিএম

করোনার কারণে কক্সবাজার জেলা লকডাউন। দোকানপাট বন্ধ। অকারণে কাউকে পথে-ঘাটে পেলে পেটানো হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে সবাইকে। পেটে ক্ষুধা রেখে কাজ- কাম ফেলে ঘরে ঢুকে গেছে মানুষ।
ঠিক এমন সময়ে খুলে দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরের লবণ মিলগুলো। এতে লকডাউনেও সচল হলো লবণ ওঠানামার ঘাটসমূহ। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসছে অসংখ্য লবণবাহি ট্রাকও শ্রমিক। চলছে ব্যবসা। ঘটছে শ্রমিক সমাবেশ। এখানে মানা হচ্ছেনা কোন নিয়ম।

এই সব ট্রাকের প্রতি ট্রাকে অন্তত তিনজন শ্রমিক থাকে। ঢোকার পথে ট্রাকগুলোতে নেই কোন তল্লাশি। কক্সবাজারের বুক চিরে নারায়ণগঞ্জের ট্রাকগুলো সোজা চলে যাচ্ছে ইসলামপুরের জনপদে। চালক, হেলপার, লবণ শ্রমিক হয়ে যাচ্ছে একাকার। এমতাবস্থায় ইসলামপুরের প্রায় নাগরিক করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আতঙ্কিত ও শঙ্কিত।

এবিষয়ে গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া বেশ লক্ষণীয়। এতে মন্তব্য করেছেন ইসলামপুরের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

ইসলামপুরের বাসিন্দা ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক (ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ) Dr-Shahjahan Nazir নিজের ফেসবুকওয়ালে লিখেছেন, ‘কক্সবাজারের কয়েকটি ঝুঁকিপুর্ন স্থান যেখানে বাইরের বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আসে। বিনিময়ে লবন নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলার ড্রাইভার ভাইয়েরা।

করোনার এই মহা প্রলয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ড্রাইভার ভাইয়েরা যে খাদ্য সামগ্রী আনা নেওয়া করছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু তাই বলে উক্ত স্থান সমূহের জনগণকে নিরাপত্তাহীন রাখা যাবে না। যেমন, ইসলামপুর, চৌফলদন্ডী, ভারুয়াখালী, রশিদ নগর।
এমতাবস্থায়, মিল মালিক, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ভোলানটিয়ারদের সমন্বয়ে একটি টাক্সফোর্স গঠন করা যেতে। তাদের মাধ্যমে উক্ত বহিরাগতদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা যেতে পারে।
আমরা জানি আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ৬ ফূট দূরে করোনা ছড়ায় না, তাই স্থানীয় জনগণ থেকে ১২ ফুট দূরে হয় এরকম একটি প্রতিষ্ঠান ঠিক করা যেতে পারে। সেটা হতে পারে সরকারি সাইক্লোন সেল্টার, প্রাইমারী স্কুল, হাই স্কুল, মাদ্রাসা বা অন্য কোন সরকারি বিল্ডিং।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ