গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আবু নসর গুন্নুর জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল (শনিবার) মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনূর এ আদেশ দেন।
মহানগর আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আবু নসর গুন্নুর জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত তা না’মঞ্জুর করেন। গত ৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন আবু নসর গুন্নু (৪০)।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ দাবি করেছিল, গুন্নু ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কর্মী। সীতাকুÐ থানার অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় একটি মামলায়ও নসর আসামি। পরদিন ৯ জুন নসুরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদনও করে পুলিশ। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
৯ জুন বিকালে নসুরের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে হাটহাজারী উপজেলার দরবারে মুসাবিয়া এন্তেজামিয়ার উত্তরসূরিদের একপক্ষ। তাদের দাবি ওই মাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে নসরকে ফাঁসানো হয়েছে। এরপর মিতু হত্যায় গত ২৬ জুন মোতালেব মিয়া ওয়াসিম ও আনোয়ার, ২৮ জুন এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির হোসেন এবং ১ জুলাই শাহজাহান ও মুছার ভাই সাইফুল আলম শিকদার ওরফে সাকু মাইজ্যা নামের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও গত ২৯ জুন মুছা, রাশেদ, নবী, শাজাহান ও কালু নামের পাঁচ জনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে পুলিশ।
৫ জুলাই রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঠান্ডাছড়িতে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মিতু হত্যায় সন্দেহভাজন নুরুল ইসলাম ওরফে রাশেদ (২৭) ও নুরুন্নবী (২৮)। মিতু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে ওয়াসিম, আনোয়ার ও মনির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ তিন জনের জবানবন্দিতে মিতু হত্যার ঘটনায় আবু নসর গুন্নুর সম্পৃক্ততার কোনো বিষয় উঠে আসেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।