নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশে তখন এক নম্বর খেলা ফুটবল। আশির দশক থেকে বিংশ শতাব্দির শুরু পর্যন্ত ঘরোয়া ফুটবলে মোহামেডান-আবাহনীকে ঘিরে বিভক্ত ছিলেন গোটা দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। সেই সময় দেশের ক্রিকেট ছিল স্রেফ অংশগ্রহণ করার মতই একটি ডিসিপ্লিন। তখন এই খেলার তেমন উত্তাপ ছিলনা বাংলাদেশে। তবে চিত্রনাট্য পাল্টানো শুরু করে ধীরে ধীরে। ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য তখনকার বড় আসর আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্টে নিয়মিতই অংশগ্রহণ ছিল টাইগারদের। ১৯৮২ ও ১৯৯০ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরে আসলেও ১৯৯৭ সালে আর খালিহাতে ফিরতে হয়নি বাংলাদেশকে। ওই বছর আকরাম খানের নেতৃত্বে স্বপ্নপূরণ হয় টাইগারদের। ১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল আইসিসি ট্রফির রোমাঞ্চকর ফাইনালে শক্তিশালী কেনিয়াকে ২ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ। আইসিসি ট্রফিতে সেরার খেতাব জেতার পাশাপাশি এ আসরেই আকরাম খানরা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। গতকাল ছিল ঐতিহাসিক সেই দিনটি। এখন থেকে ঠিক ২৩ বছর আগের অর্জন। যে অর্জন দেশের ক্রিকেটের গতিপথ বদলে দিয়েছে। ওই অর্জনের জন্যই আজ পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত।
বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফি জয়ের ২৩ বছর পূর্তির দিনে কাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গেছে। বাদ পড়েননি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সফল সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি শুভেচ্ছায় সিক্ত করলেন তখনকার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। বললেন, ‘ইতিহাসের সূচনা আপনাদের হাতেই’।
২৩ বছর আগে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালুমপুরের কিলাত ক্লাব মাঠে জয়ের পর ট্রফি হাতে নিয়ে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের উল্লাসের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে মাশরাফি একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘হাজার মাইলের যাত্রা শুরু হয় একক কোন পদক্ষেপ নিয়ে’- কি বড় একটা পদক্ষেপ ছিল এটা! ১৩ এপ্রিল ১৯৯৭।’
আইসিসি ট্রফির সেই ফাইনালের কথা আজও মনে আছে দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীদের। ১২ এপ্রিল নির্ধারিত ছিল ফাইনালের দিন। ওইদিন প্রথমে ব্যাট করা কেনিয়া স্টিভ টিকোলোর অনবদ্য সেঞ্চুুরিতে (১৫২ বলে ১৪৭ রান) তুলে ৭ উইকেটে ২৪১ রান। কেনিয়ার ইনিংস ভালোভাবে শেষ হলেও বাংলাদেশের ইনিংস শুরুর আগেই বৃষ্টি নামে। তারপর হেলিকপ্টার দিয়ে মাঠ শুকানো হলেও ওইদিন আর খেলা হয়নি। ফাইনাল গড়ায় পর দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। ডিএল মেথডে আকরাম বাহিনীর সামনে আইসিসি ট্রফি জিততে নতুন লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়া হয় ২৫ ওভারে ১৬৬ রানের। শেষ ওভারে ১১ রান দরকার থাকা অবস্থায় খালেদ মাসুদ পাইলটের ঐতিহাসিক ছক্কা। আর শেষ বলে ১ রান দরকার থাকা অবস্থায় লেগ বাই থেকে জয়সূচক রান পাওয়া। শর্ট ফাইন লেগে বল যেতেই হাসিবুল হোসেন শান্ত আর খালেদ মাসুদ পাইলটের জয়সূচক রান নিয়ে বিজয়ীর বেশে সাজঘরে ফেরা। সত্যিই এক অসাধারণ জয়। যে জয়ের দৃশ্য এখনো সবার মনে জ্বলজ্বল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।