বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা ভাইরাস আতংকের কারনে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে কোন চিকিৎসা সেবাই পাচ্ছেন না রোগীরা। গত পনের দিন ধরে হাসপাতালটিতে নেই কোন স্বাস্থ্যসেবা। বিভিন্ন স্থান থেকে রোগীরা হাসপাতালটিতে আসলেও তারা কোন চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। হাসপাতালের বেশীর ভাগ চিকিৎসকই হাসপাতালে না থাকার কারনে চিকিৎসা সেবার সংকট চলছে বলে জানান নামপ্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালটির কয়েক কর্মচারী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ১শ শর্য্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের কারনে হাসপাতালটিতে নেই কোন রোগী। কোন রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি করছে না কতৃপক্ষ। ফলে রোগীশূন্য রয়েছে শতাধিক শর্য্যার এ হাসপাতালটিতে। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক অনুপস্থিত রয়েছে। ফলে দুর-দুরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে চরম হতাশা নিয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা সেবা নিতে হাসপাতালটিতে আসলেও চিকিৎসকদের চেম্বার বন্ধ রয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা রোগী ও তাদের স্বজনেরা অপেক্ষা করার পরও মিলেনি চিকিৎসকদের। এসময় অনেকেই ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা গেছে।
শহরের ভাজনডাঙ্গা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছিলেন আছিয়া বেগম । তিনি তার শিশু পুত্রকে নিয়ে হাসপাতালে আসলেও কোন সেবা না পেয়ে চলে যান।
এদিকে জেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন থেকে আসা নুরুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে অপেক্ষা করার পরেও মিলেনি ডাক্তারের দেখা।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা রোগীরা ও ডাক্তারের অপেক্ষায় অবস্থান করছেন।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসকদের দেখা না মিললেও কয়েকজন চিকিৎসকের রুমে দেখা গেছে কমিউনিটি ক্লিনিক ও বেসরকারী ম্যাটসের মেয়েদের। তারাই রোগীদের অভিযোগ শুনছেন। চিকিৎসকদের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, স্যারেরা হাসপাতালেই আছেন। বাস্তবে তাদের দেখা মেলেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।