মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ওয়ান মালয়েশিয়ান ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ বা ওয়ানএমডিবি সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। তদন্তের স্বার্থেই একাউন্টগুলো জব্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে। এক যৌথ বিবৃতিতে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুলিশের জালিয়াত বিরোধী ইউনিট বলেছে, আমরা অবৈধ তহবিলের আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিগণিত হতে রাজি নই। এ কারণে বেশ কয়েকটি ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছি আমরা। তদন্ত এগিয়ে নিতে আমরা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছি। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গেই কথা বলছি। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুর একযোগে কাজ করছে। ওয়ানএমডিবি মালয়েশিয়ার সরকারের একটি কৌশলগত উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। বৈশ্বিক সম্পর্কোন্নয়ন ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে দেশের দীর্ঘ মেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ২০০৮ সালে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল তেরেঙ্গানু ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি (টিআইএ)। পরের বছর, ২০০৯ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ওয়ান মালয়েশিয়ান ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ’।
আলোচিত-সমালোচিত ওয়ান মালয়েশিয়ান ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ (ওয়ানএমডিবি) বিতর্কের সৃষ্টি হয় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়া ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তোলা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওয়ানএমডিবি ফান্ড থেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন রিংগিট (৫ হাজার ১৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) জমা করা হয়েছে। তবে শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। গত ২৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার এটির্ন জেনারেল মোহাম্মদ এপান্ডি আলিও এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নাজিব এক্ষেত্রে বেকসুর। এদিকে, গত ২৯ জানুয়ারি সুইস এটর্নি জেনারেল মাইকেল লবার এক বিবৃতিতে জানান, ২০১৫ সালেই সুইস কর্তৃপক্ষ ওয়ানএমডিবি ইস্যুতে একটি তদন্ত শুরু করে।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিতে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ঘাপলার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রতিষ্ঠানটির কিছু অর্থ মালয়েশিয়ার সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও নেতার সুইস একাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। ওয়ানএমডিবি থেকে চার বিলিয়ন ডলার খোয়া গেছে বলেও ওই বিবৃতিতে দাবি করেন মাইকেল লবার। ৭৯.০৮ টাকায় এক ডলারের হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় অংকটা দাঁড়ায় ৩১ হাজার ৬৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।