Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বহিরাগত প্রবেশে বৃহত্তর খুলনাঞ্চলে বাড়ছে আতংক

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৫:২৩ পিএম

বহিরাগত প্রবেশে বৃহত্তর খুলনাঞ্চলে বাড়ছে আতংক। করোনা পরিস্থিততি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীর চেকপোস্ট। কিন্তু এই চেকপোস্ট উপেক্ষা করে রাতের আধারে ট্রাক যোগে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ ঢুকছে এ অঞ্চলে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।

খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাটসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিবছর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে যান কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতার কারণে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গার কাজের সন্ধানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে কাজে যোগ দিয়ে এপ্রিলের শেষের দিকে ফিরতে শুরু করেন তারা। তবে এবার করোনা আতঙ্কে অনেক শ্রমিক আগেই ফিরতে শুরু করেছেন। এলাকা লকডাউন থাকায় যারা ফিরতে পারেননি, তাদের কেউ কেউ এখন লুকিয়ে মালবাহী ট্রাকের ছাদে অথবা অন্য উপায়ে এলাকায় ফিরছেন। খুলনায় শনিবার ভোরে এ রকম মালবাহী তিনটি ট্রাকসহ ৬০ শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে খুলনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ মুহূর্তে বাইরে থেকে কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একই সঙ্গে কারও এলাকার বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। এ অবস্থায় শনিবার ভোরে তিনটি ট্রাকে করে মানিকগঞ্জ থেকে কয়রায় ফিরেছেন ৬০ জন শ্রমিক। তারা সবাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাদের আটক করে এক স্থানে রাখা হয়। পরে ইউএনও ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের শর্তে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন ট্রাকচালককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে গত শুক্রবার ভোরেও সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের মাধবকাটি বাজারে স্থানীয় জনতা পলিথিনে ঢাকা ৪ টি ট্রাক ও একটি পরিবহন ভর্তি প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তারা সবাই ইট ভাটা শ্রমিক বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লাসহ করোনা আক্রান্ত জেলা থেকে হাজারখানেক শ্রমিক এলাকায় ফিরেছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন কৌশলে তারা মালবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স অথবা ছোটখাটো যানবাহনে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে এলাকায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ