Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে একজনের মৃত্যুতে ৩৪২ বাড়ি লকডাউন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৩১ এএম

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসায় ৩৪২ টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নূর এ আলম জানান, সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ইছামতি আলীনগর এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজুল ইসলাম (৬৫) নামের ওই ব্যক্তি মারা যান। মৃত্যুর দিন রাতে চমেক হাসপাতালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হতে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর পর রাত সাড়ে ১১টার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর এ আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ওসমানী ও সাতকানিয়া থানার ওসি মো. সফিউল কবীর এলাকায় উপস্থিত হয়ে লোকজনের সাথে কথা বলার পর ইছামতি আলীনগরের পুরো ওয়ার্ডটি লকডাউনের বিষয়টি মাইকে প্রচার করেন এবং লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন।

লকডাউনকৃত ওয়ার্ডে মোট ৩৪২টি পরিবার বসবাস করে বলে জানা গেছে।

গত বুধবার রাতে চিকিৎসার জন্য তাকে কেরানীহাট আশশেফা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে দেখানোর পর করোনার উপসর্গ থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
ওইদিন রাতে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরের দিন সকালে তার নমুনা সংগ্রহের জন্য তার পরিবারের লোকজনকে থাকতে বলা হয়। কিন্তু রোগীর সাথে থাকা লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনে রোগীকে অক্সিজেন দেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সন্ধ্যার দিকে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদকে ডেকে আনেন। পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ দেখার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপরও পরিবারের লোকজন তাকে পুনরায় কেরানীহাট আশশেফা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রোগীর কোন সাড়া না পাওয়ায় তাকে দ্রুত চমেক হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সেখান থেকে রাতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর চমেক হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের পর তার লাশ শুক্রবার ভোরে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
তার সংস্পর্শে আসা শতাধিক মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ