মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিমানবাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থান চেষ্টায় অংশ নেয়। এই বিদ্রোহীরা দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ফেতেহউল্লাহ গুলেনের সমর্থক বলে মনে করা হচ্ছে
সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর বড় অংশ এরদোগানের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়। তাছাড়া এরদোগান এবং তুর্কি সরকারের সাহসী চেষ্টা এবং জনগণের রাস্তায় নেমে আসাতেও বিদ্রোহীদের মনোবল ভেঙে যায়
ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে। এটা রাষ্ট্রদ্রোহ। অভ্যুত্থানের পেছনে যারা আছেন তাদেরকে এর জন্য কড়া মূল্য দিতে হবে। এরদোগান বলেন, তিনি জনগণের পাশেই থাকবেন এবং ইস্তাম্বুল থেকে কোথাও যাবেন না। উল্লেখ্য, তিনি অবকাশ যাপনের জন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চলে উপকূলীয় শহর মারমারিসে অবস্থান করছিলেন। এরই মধ্যে গত শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। এ বিষয়ে এরদোগান বলেন, আমি অবকাশ যাপনে যাওয়ার পরপরই আমাকে বলা হয়েছে আমি যেসব স্থানে অবস্থান করতাম সেখানে বোমা হামলা করা হয়েছে। আমি মনে করি, তারা ভেবেছিল আমি ওইসব স্থানেই ছিলাম। গতকাল শনিবার সকালে তিনি বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষমাণ কয়েক হাজার সমর্থকের উদ্দেশে বলেছেন, অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারীরা জনগণের অস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে তাক করেছে। যে প্রেসিডেন্টকে শতকরা ৫২ ভাগ মানুষ ক্ষমতায় এনেছে তিনিই দেশের দায়িত্বে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে আমরা যদি প্রতিরোধ গড়ে তুলি তাহলে তারা সফল হতে পারবে না। তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন ইস্তাম্বুলের বোসফোরাসে বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্যকে আত্মসমর্পণ করতে দেখা যায়। তারা তাদের ট্যাংক ফেলে দু’হাত উঁচু করে এগিয়ে যান। প্রাথমিক খবরে দেখানো হয়, সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। টেলিভিশন স্টেশনও তাদের নিয়ন্ত্রণে। একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছিল আঙ্কারা। মানুষের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র উত্তেজনা। অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ নেমে আসেন রাজপথে। তাকসিম স্কোয়ার, পার্লামেন্ট ভবনে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। রাতভর সংঘর্ষ হয়েছে ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারায়। এতে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে প্রসিকিউটর অফিস থেকে। বলা হয়েছে নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোকজন। তুরস্কের সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। দেশটিতে একসময় ঘন ঘন সামরিক অভ্যুত্থান হলেও রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে বলেই মনে করা হচ্ছিল। কারা ছিলেন শুক্রবারের অভ্যুত্থান চেষ্টায়? প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিমানবাহিনীর একটি অংশই এই চেষ্টায় অংশ নেয়। তারা সেনাপ্রধানকেও আটক করেছিল। কিন্তু পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর বড় অংশ এরদোগানের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলে তারা ব্যর্থ হয়। তাছাড়া এরদোগান এবং তুর্কি সরকারের সাহসী চেষ্টা এবং জনগণের রাস্তায় নেমে আসাতেও বিদ্রোহীদের মনোবল ভেঙে যায়। সাধারণ মানুষের অনেকে রাস্তায় মোতায়েন বিদ্রোহীদের সামরিক যানের চড়ে বসে। তাদের হাতে তুর্কি এবং একেপির পতাকা শোভা পাচ্ছিল। জনতাকে দেখে অনেক সৈন্যও বিদ্রোহ ছেড়ে তাদের সাথে যোগ দেয়। বিদ্রোহীরা দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ফেতেহউল্লাহ গুলেনের সমর্থক বলে মনে করা হচ্ছে। অভ্যুত্থানের সময় একটি সামরিক হেলিকপ্টার হামলায় ১৭ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত একটি সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে একটি সামরিক বিমান। আল-জাজিরা, গার্ডিয়ান, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।