মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমা বিশ্বের জন্য যা অমঙ্গলের চীনের জন্যই তাই কল্যাণকর
ইনকিলাব ডেস্ক : একবিংশ শতাব্দীতে এখন পর্যন্ত ঘটা উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর অন্যতম হলো ব্রেক্সিট বা ব্রিটেনস এক্সিট। ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়াকেই ব্রেক্সিট নামে অ্যাখ্যায়িত করা হয়েছে। ইউরোপের ছোট-বড় সব মিলিয়ে ২৮টি দেশ নিয়ে গঠিত বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গণভোটে ব্রেক্সিট জয়ী হওয়ার পর দেশটির রাজনীতিতেও বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগের ফলে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তেরেসা মে। বিশ্ব রাজনীতিতে বহু আগে থেকেই একটি প্রবাদ চালু আছেÑ পশ্চিমা বিশ্বের জন্য যা অমঙ্গলজনক, চীনের জন্যই তাই মঙ্গলের। তাই বলাই যায়, ব্রেক্সিট চীনকে বিশ্ব মানচিত্রে আরো শক্তিশালী করেছে। কারণ, অস্থিতিশীল পশ্চিমা বিশ্ব স্থিতিশীল চীন তথা পুরো এশিয়ার জন্যই কল্যাণকর। একথার রেশ ধরেই বিশ্লেষকরা মনে করেন, ব্রেক্সিটে ব্রিটেনের কোনো উপকার হোক আর নাই হোক, বিশ্বের প্রভাবশালী অনেক রাষ্ট্রই এর ফল ভোগ করবে। তেমনই একটি রাষ্ট্র এশিয়ার ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চীন। ব্রেক্সিটের ফলে পরাক্রমশীল রাষ্ট্র চীনের ব্যাপক উপকার হবে বলাটা যুক্তিসঙ্গত না হলেও, এর ক্ষতিকর প্রভাবে বাকি বিশ্বের তুলনায় চীনই সবচেয়ে কম ভোগান্তি পোহাবে। কিন্তু কীভাবে? তা জানতে হলে কিছুটা পেছন ফিরে তাকাতে হবে। মার্গারেট থ্যাচার ১৯৭৯-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট মন্দার প্রভাব তখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্রিটেন। কিন্তু মার্গারেট থ্যাচার শক্ত হাতে, বিভিন্ন বাধা অগ্রাহ্য করে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক সংস্কার এনেছিলেন। এজন্যই তাকে আয়রন লেডি বা লৌহ মানবী অ্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল। তবে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না পারা, আর সে সময় ব্রিটেনের বেকারত্ব ৩০ লাখে দাঁড়ালে, তিনি সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীতে পরিণত হন। তবে এতটুকু নিশ্চিত করেই বলা যায়, প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে তার পদত্যাগের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল ইইউ-এর প্রতি তার উদাসীনতা। সে সময় নেতৃত্বে বদল আসার পর মন্দাভাব কিছুটা কাটিয়ে ওঠায় ইইউ নিয়ে ব্রিটেনবাসী নিশ্চুপ হয়ে যায়। তবে ২০০৮ সালের পর বেকারত্বের হার আবারো বাড়তে থাকলে ইইউ নিয়ে জনমনে ফের ক্ষোভ সৃষ্টি হতে শুরু করে। কারণ, অধিকাংশ ব্রিটেনবাসীরই ধারণা হয়, তাদের মন্দা আর বেকারত্বের জন্য ইইউই দায়ী। দ্য ডিপ্লোম্যাট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।