রাজধানীর কলাবাগান থানার সেন্ট্রাল রোডের একটি ফ্ল্যাটে গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদেও কাছ থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. হাসান ওরফে জিসান, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আব্দুল আলীম ও মো. লিখন শেখ। তাদের মধ্যে মূলহোতা হলেন জিসান। আর আনোয়ার হোসেন সহযোগী এবং আলীম ভ্যান চালক ও লিকন শেখ চোরাই স্বর্ণের ক্রেতা।
ডিএমপির গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের রমনা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শামসুল আরেফিন জানান, গত ৩১ মার্চ ভোরে কলাবাগান থানার সেন্ট্রল রোডের একটি ফ্ল্যাটে গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং ল্যাপটপ চুরি করে অজ্ঞাতনামা চোরচক্র। এ ঘটনায় গত ২ এপ্রিল কলাবাগান থানায় একটি মামলা হয়।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক পর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দু'জনকে শনাক্ত করে। পওে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গত ১০ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত দীর্ঘ অভিযানে ধানমন্ডি, হাজারীবাগ এবং লালবাগ থানা এলাকা থেকে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ওই চক্রের মূলহোতা হাসান ওরফে জিসান মূলতঃ একজন অভিনয় শিল্পী। কয়েকটি নাটক এবং টেলিফিল্ম এ সে অভিনয় করেছে। তার অভিনীত শর্টফ্লিম, নাটক ও ভিডিও এর জন্য নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। যার নাম বয়াতি বাড়ি। তাকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে চুরির ঘটনায় সরাসরি জড়িত অপর দুই সহযোগী আনোয়ার হোসেন এবং ভ্যান চালক আব্দুল আলীমকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারের সময় মূলহোতা জিসানের বাসা থেকে চুরি হওয়া চেইন, আংটিসহ কিছু স্বর্ণালংকার, নগদ ২০ হাজার টাকা এবং চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। চুরি করা স্বর্ণ সে আজিমপুর এবং নারায়ণগঞ্জে বিক্রি করে বলে জানায়। পরবর্তী সময় চোরাই স্বর্ণের ক্রেতা লিখন শেখকে তার আজিমপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বাসা থেকে চুরি যাওয়া আংটি এবং চুরির ভাংগা অংশ উদ্ধার করা হয়। এ চক্রটি আরো কয়েকটি চুরির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।