Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ত্রাণের চালে চুরি-দুর্নীতি চট্টগ্রামে করোনা খাদ্য সাহায্য কোথায় যাচ্ছে- ইনকিলাব অনুসন্ধান

জড়িতদের ধরতে একযোগে তৎপর বিভিন্ন সংস্থা : তদন্ত কমিটি

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৪৬ এএম | আপডেট : ৯:৫২ এএম, ১১ এপ্রিল, ২০২০

খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ৩০ কেজি চালভর্তি বস্তায় লেখা ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’। সরকারি সেই চাল শুধু বস্তা বদল। ‘নুরজাহান’ নামের ৫০ কেজির বস্তায় পাল্টিয়ে খোলা বাজারে বিক্রয়। শুধুই হাতবদল। সরকারি গুদামে মজুত চাল লোপাট করে সরিয়ে আনা হয় খাদ্যশস্য ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীর গুদামে। এমনকি কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করেই চলছে বস্তা পাল্টানো আর বিক্রির অপকাণ্ড। 

পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়লো এভাবে করোনায় সরকারি ত্রাণের চাল চুরি-দুর্নীতি ও লোপাটের ঘটনা। ঘটনাস্থল চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যস্ত এলাকা ডিটি রোডের লাগোয়া ঈদগাঁ।
এ ব্যাপারে মামলাও হয়েছে ডবলমুরিং থানায়। অবৈধ একটি গুদাম সিল করে দেয়া হয়েছে। দু’জন কর্মচারী গ্রেফতার হয়। অভিযান টের পেয়ে মালিক ও অন্য দ্রুত পালিয়ে যায়। আজ শনিবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখা অবধি ত্রাণের চাল চুরি-দুনীতি জড়িত রুই-কাতলারা ধরা পড়েনি কেউ।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বেশ কয়েকদিন যাবৎ তারা দেখছেন সরকারি গুদাম থেকে ট্রাকে ট্রাকে চাল আসছে ঈদগাঁর সেটি ছাড়াও আরও দুয়েকটি গুদামে। যেখানে শ্রমিক-কর্মচারীরা দিনভর বস্তা খুলে খুলে পাল্টানোর কাজেই ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টারও গুদামের মতো একই কাজে ব্যবহার হচ্ছিল। চালের ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ও স্থানীয় যুবলীগের কিছু ক্যাডার রাস্তা ও গলির মুখে সতর্ক পাহারা দিচ্ছিল। এ ব্যাপারে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কারো কাছে মুখ না খুলতে কয়েকজন এলাকাবাসীকে শাসিয়ে দিয়ে যায় ক্যাডাররা।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন এ বিষয়ে সরকারের শক্ত অবস্থানের কথা জানিয়ে ইনকিলাবকে বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবাণীর ঠিক পরদিন
চট্টগ্রামের দেওয়ান হাট সরকারি গুদামের কাছাকাছি ঈদগাঁয় ব্যবসায়ীর গুদামে সরকারি ত্রাণের চাল ব্যবসায়ীর গুদামে সরানো, বস্তা পাল্টানোর ঘটনাটি জানাজানি হলে চট্টগ্রামের নাগরিক মহলে স্বভাবতই ক্ষোভ-অসন্তোষের সাথে একটি প্রশ্ন মুখে মুখে উঠে আসছে- ‘কে বেশি শক্তিশালী? করোনাভাইরাস বৈশি^ক মহামারী? নাকি গরীব-দুঃখী, অভাবী মানুষের খাবার নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলছে ওরা’?
প্রসঙ্গত গত ৭ এপ্রিল, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে করোনা সংক্রমণরোধ নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্যে তিনি সতর্ক করেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত চালসহ খাদ্যসামগ্রী মজুত আছে। দরিদ্র-দুস্থদের জন্য ত্রাণ সাহায্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই ত্রাণসামগ্রীর যাতে অনিয়ম, নয়-ছয় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর আমরাও তা দেখছি’।
আর, প্রধানমন্ত্রীর কড়া সতর্কবাণীওে পরদিনই (৮ এপ্রিল, বুধবার) ধরা পড়লো চট্টগ্রামে ত্রাণের চাল কেলেঙ্কারির ঘটনা। এটি বাস্তবে ঘটমান নয়-ছয় দুর্নীতির আংশিক চিত্র মাত্র। এ বিষয়ে খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রামের কর্মকর্তাগণের মুখে কুলুপ। দুয়েকজন আভাসে বলছেন তারা নাকি ‘চাকরি হারানোর ভয়-আতঙ্কে’ আছেন।
চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন ও অভাব-অনটনে পড়া গরিব-দুস্থদের মাঝে ত্রাণ সাহায্য বিতরণ শুরু হতে না হতেই কী ঘটছে? নেপথ্যে কারা? এ বিষয়ে তুলে ধরা হলো দৈনিক ইনকিলাবের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
গরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদগাঁয় অভিযানে উদঘাটিত এই ঘটনায় মাত্র এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। নেপথ্যে জড়িত খাদ্য বিভাগের একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ, অসৎ খাদ্য ও গুদাম কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের যোগসাজশে খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার, ডিও ব্যবসায়ী, স্থানীয় যুবলীগ মিলিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র।
এদের ধরতে এখন হন্যে হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠে বিভিন্ন সংস্থা। একযোগে চলছে অনুসন্ধান ও তদন্ত। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, চট্টগ্রামে করোনা ত্রাণের চালের চুরি-দুর্নীতি করে বাজারে লোপাটের ঘটনায় সরকারের তরফ থেকে ‘কঠোর বার্তা’ এসেছে।
স্থানীয় অনুসন্ধান ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গোপন সংবাদ পেয়ে ডিটি রোডে প্রথম অভিযানটি চালায়। সেখান থেকে ডিটি রোডেই দেওয়ানহাট সরকারি সিএসডি গোডাউন প্রায় কাছাকাছি। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ ফারুকুল হক বলেন, সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের এসব চাল গুদাম থেকে কীভাবে ঈদগাঁ এলাকায় প্রাইভেট গোডাউনে গেলো তাতে অবাক হতে হয়। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রাথমিক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত ৩ কোটি টাকার ত্রাণের চাল বাজারে বিক্রয় করে দেয়া হয়েছে। শুধু এক গুদামে তল্লাশি চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ ১৬ মণ চাল উদ্ধার করে। ২১ বস্তায় ভর্তি এসব চাল বিক্রির জন্য তখনই ছিল প্রস্তুত। তাছাড়া গুদাম থেকে খাদ্য বিভাগের সিলযুক্ত ২ হাজারটি খালি বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ। যেগুলো থেকে সরকারি চাল খুলে ভর্তি করা হচ্ছিল ব্যবসায়ীর ‘নুরজাহান’ নামের বস্তাগুলোতে।
হাতেনাতে পুলিশ আরাফাত হোসেন ও আবদুল আজিজ নামে দু’জন কর্মচারীকে গ্রেফতার করে। তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করে, গত এক সপ্তাহে এ ধরনের বিশ হাজার সরকারি বস্তার চাল খালি করে ‘নুরজাহান’ বস্তায় ভর্তি করেই বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকায় মুনমুন কমিউনিটি সেন্টারের গলিতে এক গুদামে চলছিল এভাবে বস্তা পাল্টানোর কাণ্ড।
বিসিক থেকে ভাড়া নিয়ে পাহাড়তলীর চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফারুক গুদামটি ব্যবহার করেন। খাদ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার ফারুকের প্রতিষ্ঠানের নাম ফারুক ট্রেডার্স। তার গুদামেই মিলেছে ত্রাণের চাল। খাদ্য বিভাগের প্রতিবস্তা চালে থাকে ৩০ কেজি। আর পাল্টানো ‘নুরজাহান’ বস্তায় ৫০ কেজি। ওখান থেকে ‘নুরজাহান’ চালের নামেই সরকারি ত্রাণের চাল যাচ্ছিল বাজারে।
প্রশাসন সূত্র জানায়, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া জেলা থেকে ভালোমানের উক্ত চাল সংগ্রহ করে খাদ্য বিভাগ। যার বাজার দর কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা। অথচ অর্ধেক দামে ডিও নিয়ে ভালো চাল হাতিয়ে নিয়ে যায় চক্রটি। খাদ্য বিভাগের দুর্নীতিবাজদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েই তা সহজেই সম্ভব বলে স্বীকার করেন পাহাড়তলী বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত বুধবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফারুক ট্রেডিংয়ের গুদাম থেকে সরকারি চালভর্তি বস্তা, খালি বস্তা ও চাল যেভাবে উদ্ধার করেন, এরআগেও তার গুমামে তল্লাশি চালিয়ে সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছিল। সাজা পেয়ে জেলও খাটেন দোকান মালিক। কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন সরকারি চাল নিয়ে চালবাজিতে।
ডিসি (পশ্চিম ) ফারুক আরও জানান, সরকারি চালভর্তি বস্তাগুলো পাল্টিয়ে বাজারজাতের সময় ২১ বস্তা বিক্রয় নিষিদ্ধ চাল আমরা হাতেনাতে পেয়েছি। প্রতিবস্তায় ৩০ কেজি করে ৬শ’ ৩০ কেজি চাল সেখানে সরকারিই। প্রতি বস্তায় আছে খাদ্য অধিদফতরের সিল। ক’জন শ্রমিক সেই সিলযুক্ত চাল বের করে সাধারণ বস্তাভর্তি করছিল। আমরা ২ হাজারটি সরকারি চালের সদ্য খালি হওয়া বস্তাও উদ্ধার করেছি। যে দুজন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা মালিক বা ব্যবসায়ীর নির্দেশমতো খাদ্য বিভাগের চালের বস্তাগুলো খুলে খুলে ‘নুরজাহান’ বস্তায় ভরতে দেখা গেছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ডিও ব্যবসার নামে সরকারি খাদ্য গুদামের চাল এভাবে লোপাট হচ্ছে দীর্ঘদিন। খাদ্য বিভাগ ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসূত্রেই তা হচ্ছে। অনেকেই সরকারি খাদ্য গুদামকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করছে। পুরো চট্টগ্রাম বিভাগের ডিও কন্ট্রোল করছে সিন্ডিকেট। নেপথ্যে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় জনাকয়েক নেতা। তারা নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অঙ্কের টাকার ভাগ পকেটে তুলছেন খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী, গুদাম মালিক, পরিবহন ও হ্যান্ডলিং ঠিকাদারদের কাছ থেকে।
অভিযানে ওরা এখন সটকে পড়েছে। করোনা আতঙ্কে চালের দাম বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে সরকারি চাল বস্তা পাল্টানো ও বিভিন্ন অপকৌশলে বাজারে লোপাট করে ডজন সংখ্যক অসৎ ব্যবসায়ী এবং চক্রটি মিলে গত মাত্র এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা হরিলুট করেছে।


শুধু তাই নয়। টিআর, কাবিখা, সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিও চক্রটির কব্জায়। মহানগর থেকে জেলা-উপজেলায় বিস্তৃত ওদের জাল। তবে অতীতেও পুলিশ, র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে সরকারি চাল উদ্ধার করে। আর অধরাই থেকে যান রুই-কাতলারা। শুধু চুনোপুটিরা ধরা পড়ে। ক’দিন পর জামিনে বেরিয়ে যায়। এই চক্রটি পোকা-মাকড়েরর মতোই খেয়ে ফেলছে সরকারি গুদামের চাল ও গম।
সরকারি টিআর, কাবিখাসহ সরকারের বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব প্রকল্পের ডিও তুলে নিয়ে দীর্ঘদিন খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন না করে মুনাফাখোরির জন্য মজুদ ফেলে রাখেন। চালের বাজার অস্থির হলেই গুদাম থেকে ডিও’র বিপরীতে চাল ছাড়েন বাজারে। নগরীর হালিশহর ও দেওয়ানহাট সিএসডি খাদ্য গুদামকে চক্রটি পৈত্রিক সম্পত্তির মতো যথেচ্ছ কব্জা করে রেখেছে। এতে যোগসাজশ রয়েছে খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রামের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা এবং খাদ্য গুদামের ম্যানেজারদরদের।
বিগত ২০১৭ সালে হালিশহর সিএসডি গুদাম থেকে খোলা বাজারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ চাল হাতেনাতে জব্দ করে র‌্যাব-৭। এ ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে দায়ের করা মামলাটি শেষ হয় না। অথচ জড়িত সবাই আছেন বহাল তবিয়তেই। মামলায় খাদ্য বিভাগের দুই কর্মকর্তা, পাহাড়তলী-খাতুনগঞ্জের দুই ব্যবসায়ী ও ট্রাকচালকসহ ৭ জন আসামী। এরমধ্যে আছেন খাজা ভাণ্ডারেরর শাহাবুদ্দিনও।
‘অনিয়মে’র দায়ে সাজা পাওয়া দুই কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম ও আসাদুজ্জামান খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন ‘ভালো জায়গায় পোস্টিং পুরস্কার’ পেয়ে যান। ফখরুল বান্দরবানের রুমা উপজেলায় এবং আসাদুজ্জামান খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা। দুর্নীতি পুকুরচুরির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই হালিশহর খাদ্যগুদাম ম্যানেজার থোয়াই প্রু মারমার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তোলপাড় হলেও কোনো সাজা হয়নি তার।
ঈদগাঁর অবৈধ গুদামে সরকারি চালের বস্তা পাল্টানো ও বাজারে বিক্রির ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ডবলমুরিং থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। বাদী ডবলমুরিং থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সুজিত বড়–য়া। দু’জন গ্রেফতারকৃত আসামী আরাফাত হোসেন ও আবদুল আজিজকে গতকাল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামী গুদাম মালিক ফারুক পলাতক। অজ্ঞাত অনেকেই আসামী। মামলায় ২১ বস্তা সরকারি ত্রাণের চাল এবং ২ হাজার খালি বস্তা (পাল্টানোর সময়) জব্দ দেখানো হয়েছে। ডবলমুরিং থানা পুলিশ জানায় এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।



 

Show all comments

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ