Inqilab Logo

সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বাধা নয়জনকে আসামি করে মামলা

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে মালবাহী ট্রলারে নেছারাবাদে ফিরে আসা ১৮ ব্যক্তিকে কাটাপিটানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে কোয়ান্টাইনে রাখতে গিয়ে স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় চৌকিদার দীপেন্দ্র নাথ সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

পরে ওই ১৮ ব্যক্তিকে কাটাপিটানিয়া হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে না পেরে স্বরূপকাঠি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতভর ট্রলারে থাকার পরে গতকাল সকালে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে কোয়ারেন্টাইন করা হয়। একইসাথে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাত্রী বহনের অপরাধে ওই ট্রলারটিকে আটক রাখা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ব্যক্তিদের কাটাপিটানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে কোয়ারেন্টাইন করাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ৬ জন আহত হয়। আহত সাংবাদিক গোলাম মোস্তফাসহ ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে কাটাপিটানিয়া এলাকার ৯ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন হওয়া নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বলদিয়া ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ১৮ জন লোক একটি মালবাহী ট্রলারে করে গত বৃহস্পতিবার রাজাবাড়ি এলাকায় আসেন। এলাকাবাসী তাদেরকে গ্রামে উঠতে না দেয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু তাদের কোনো একটি বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীনকে নির্দেশ দেন। এসময় স্বরূপকাঠি থানার এসআই মো. তাজেলকেও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা ওই ট্রলারের লোক নিয়ে কাটাপিটানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে যায়। কাটাপিটানিয়া গ্রামে বাইরের লোক রাখতে গেলে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েন তারা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য সুখলাল ঢালী ও রনজিত বেপারীর নেতৃত্বে স্থানীয়রা বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন মিয়াসহ পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এসময় ওই এলাকার কয়েকশ’ মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে চেয়ারম্যান ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীন, স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ও এসআই তাজেল, এসআই আল মামুন, ইউপি সদস্য মো. সুমন ও চেয়ারম্যানের গাড়ীর চালক মাসুম বিল্লাহ আহত হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ