বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে ১০টাকা কেজি দরে চাল কিনতে একে অপরের গা ঘেসে ঘন্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছে শতশত নারী-পুরুষ।এতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে চাল সংগ্রহ করতে আসা হুমড়ি খেয়ে পড়া এসব নারী পুরুষের মধ্যে করোনা সংক্রমন ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মির্জাপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত দুইটি স্থানে দুইজন ডিলার সপ্তাহে তিন দিন (সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার) খোলা বাজারে চাল বিক্রি করছেন।নির্ধারিত দুইজন ডিলার তাদের পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন ২ হাজার কেজি চাল বিক্রি করছেন। ৫কেজি করে যা ৪শ জন নাগরিক কিনতে পারছেন।কিন্ত এসব পয়েন্টে কর্মহীন হয়ে পড়া মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণির শত শত মানুষ চাল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। চাল পেতে তারা একে অপরের গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে ঘন্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।ফলে এসব মানুষের মাধ্যমে করোনা সংক্রমন ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।এদিকে চাহিদার তুলনায় চাল সরবরাহ কম থাকায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও অর্ধেকেরও বেশি মানুষ চাল কিনতে না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে পোষ্টকামুরী চাল বিক্রয় কেন্দ্রে দেখা গেছে চাল কিনতে শত শত মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা একে অপরের সঙ্গে গা লাগিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।চাল পেতে তারা একে অপরের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। চাল সংগ্রহ করতে আসা পোষ্টকামুরী গ্রামের রিকসা চালক তুলু মিয়া ও রতন মিয়া জানান লাইনে দাঁড়িয়েও চাল পাওয়া যাচ্ছে না। আর চাল না নিলে পরিবার নিয়ে খামু কি।
খোলা বাজারে চাল বিক্রির নির্ধরিত ডিলার আবিদ হোসেন শান্ত জানান, যতদূর সম্ভব সামাজিক দূরত্ব রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় চাল পেতে সবাই হুমড়ি খেয়ে আগে আসার চেষ্টা করছেন।তিনি বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, কোন অবস্থায় সামাজিক দুরত্ব রক্ষা ছাড়া চাল বিক্রি করা যাবে না।সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল চাল বিক্রি করতে দেয় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।