বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের সখিপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ১০টায় উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দিঘীরচালা গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) পাঠানো হয়েছে। তবে ওই গ্রামের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। মারা যাওয়া ওই শিক্ষকের নাম শামসুল হক। তিনি বড় হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন।
এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির বাড়ির লোকজনদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ নির্দেশ দিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান জানান, ওই শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হতে স্থানীয়ভাবে মৃত ব্যক্তির শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকার আইইসিডিআরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই বাড়ির সব লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষকের আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ছিল। দু-তিন দিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। বুধবার রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে ওই রাতেই ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানার পুলিশ ওই বাড়িতে যান।
উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, এ ঘটনায় ওই গ্রামের মানুষদের মধ্যে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ওই গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা না করলেও স্থানীয়রাই ওই গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করেছে।
ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, মৃত্যুর আগে সবারই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।