নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে ট্রফি হাতে দু’অধিনায়কের ফটো সেশনের নেপথ্যে না জানি কি মহাত্মই ছিল? তা না হলে লর্ডস টেস্টের প্রথম ২ দিনটি ২ অধিনায়কের দিনে পরিনত হয় কিভাবে? লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনটিতে আলোচনায় ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। লর্ডসে টেস্ট অভিষেকের দিনে হয়ে গেলেন লর্ড। ১৯৭৭-৭৮ মওশুমে সবচেয়ে বেশি বয়সী টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বব সিম্পসনের রেকর্ডটি ছিল ৪১ বছর ৩৫৯ দিন বয়সে। সেই রেকর্ডটি ভেঙ্গে ৪২ বছর ৪৭ দিনে সেঞ্চুরির রেকর্ড করেছেন পাকিস্তান আিধনায়ক মিসবাহ। লর্ডসে পাকিস্তান অধিনায়কদের মধ্যে অভিষেকে সেঞ্চুরির রেকর্ড এর আগে আছে মোহাম্মদ হানিফ (১৮৭ নট আউট) ও জাভেদ মিয়াঁদাদের (১৫৩ নট আউট), সেই তালিকায় তৃতীয় পাকিস্তানী অধিনায়ক মিসবাহ। শুধু এ দু’টি রেকর্ডেই নয়, দলের বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে আসাদ শফিককে সঙ্গে নিয়ে ৫ম জুটিতে ১৪৮ রান ক্রিকেটের হোমে পাকিস্তানের ৩য় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ।
তার ক্যাপ্টেনস নকে (১১৪) পাকিস্তান থেমেছে ৩৩৯এ। প্রথম দিন পার করে দ্বিতীয় দিন খেলেছে প্রায় এক ঘন্টা, তা সম্ভব হয়েছে মিসবাহর ৩০৫ মিনিটের সংযমী ইনিংসে। তবে মিসবাহ’র রেকর্ডময় সেঞ্চুরির বিপরীতে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেটের মুখ দেখলেন, লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম ওঠালেন ইংলিশ পেসার ওয়াকস (৬/৭০)।
মিসবাহ,ওয়াকসের টেস্টে একগুচ্ছ রেকর্ড করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক কুক। টেস্টে ওপেনিং করে সবচেয়ে বেশি রান (১১৯ টেস্টে ৯৬০৭) ছিল ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার গাভাস্কারের। লিটল মাস্টারের সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছেন গতকাল কুক লর্ডসে (১২৩ টেস্টে ৯৬৩০ রান)। ইংলিশ অধিনায়কদের মধ্যে ফিফটি প্লাস ইনিংসের রেকর্ডে এদিন সবার উপরে থাকা মাইক আর্থারটনকে (৯৮ ইনিংসে ৮ সেঞ্চুরি, ২২ ফিফটি=৩০ ফিফটি প্লাস) ছুঁয়েছেন কুক (৯০ ইনিংসে ১০ সেঞ্চুরি,২০ ফিফটি=৩০ ফিফটি প্লাস)। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৭ টেস্টে সর্বোচ্চ ১১৮৫ রানের মালিক ছিলেন ডেভিড গাওয়ার, সেই রেকর্ড টপকে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কুকের রান থেমেছে গতকাল ১২৬০এ।
তবে লর্ডস টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যেভাবে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রেখেছেন মিসবাহ, সেখানে হেরে গেছেন অধিনায়ক কুক। জো রুটকে নিয়ে দ্বিতীয় জুটিতে কাঁটায় কাঁটায় সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ ছাড়া বড় কোন পার্টনারশিপে নেতৃত্ব দিতে পারেননি এই ইংলিশ অধিনায়ক। হেলায় হেলায় হাতছাড়া করেছেন ২৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি। আমিরের ফুল ডেলিভারি খেলতে যেয়ে প্লেড অনে ফিরেছেন তিনি ৮১ রানের মাথায়। প্রথম দিনের শেষ ৩ ওভারে ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান, আসাদ শফিক এবং রাহাত আলীকে হারিয়ে। ২৮৬/৬ থেকে গতকালকের প্রথম ঘন্টায় অবশিষ্ট ৪ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান ৫৩ রান যোগ করে। তবে ইংল্যান্ডকে ৩৪০’র চ্যালেঞ্জ দিতে স্বাগতিক দলের নাভিশ্বাস উঠিয়ে ছেড়েছে পাকিস্তান। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ’র বোলিংয়ে (৪/৪৫) ইংল্যান্ডের লিডের পথটা কঠিন করে দিয়েছে পাকিস্তান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্কোর ২০১/৬।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৩৩৯/১০ (৯৯.২ ওভারে), হাফিজ ৪০, ইউনুস ৩৩, মিসবাহ ১১৪, আসাদ শফিক ৭৩, সরফরাজ ২৫, ক্রিস ব্রড ৩/৭১, ওয়াকস ৬/৭০।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ২০১/৬ (৫১.০ ওভারে), কুক ৮১, রুট ৪৮, বেয়ারশ’ ২৯, ইয়াসির শাহ ৪/৪৫, আমির ১/৫৮, রাহাত আলী ১/৫৬।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।