Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিসবাহ’র বুক ডন রহস্য

প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ৯৭৮ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন অধিনায়ক বব সিম্পসন। তখন তার বয়স ছিল ৪১ বছর ৩৫৯ দিন। এতদিন অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল এটিই। পরশু লর্ডসের মাঠে ৪২ বছর ৪৭ দিন বয়সে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সিম্পসনের কাছ থেকে রেকর্ডটি নিজের দখলে নেন মিসবাহ-উল-হক। অধিনায়ক হিসেবে এটি তার ৮টি টেস্ট সেঞ্চুরি। এটিও পাকিস্তানের ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড।
সেঞ্চুরিটার বিশেষত্ত¡ আছে আরো। দীর্ঘ ১৫ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ার হলেও ক্রিকেটের তীর্থভূমি খ্যাত লর্ডসের মাটিতে খেলা হয়নি কোনো টেস্ট। শুধু লর্ডস কেন, ইংল্যান্ডের মাটিতেই তো মিজবাহ’র টেস্ট অভিষেক হল এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে। সেই লর্ডসেই অভিষেক ম্যাচে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি হাকানো শচীন টেন্ডুলকার যা করতে পারেননি ক্যারিয়ার জুড়ে, প্রথম ম্যাচেই সেটি করে ফেললেন মিজবাহ। তবে, মিজবাহ’র এই রেকর্ডময় শতক আলোচনায় এসেছে অন্য কারণে। কারণটা হল উদযাপন ভঙ্গিমায়। প্রথমে স্যালুট টুকে পরে দিলেন বুক ডন। তার এমন বিচিত্র উদাযপন বেশ কৌতুহলের জন্ম দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বে। অনেকে ভাবছিলেন ‘বুড়ো’ বয়সে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে পেরেই এই উদযাপন। কিন্তু খেলা শেষে আসল কারণটা ব্যাখ্যাও করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ইংল্যান্ড সফরের আগে অ্যাবোটাবাদের সেনানিবাসে নিবিড় অনুশীলনের অংশ নিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সেখানে শারীরিক সক্ষমতার বড় পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাদের। মিজবাহ জানান, “আমি সৈন্যদের কথা দিয়েছিলাম সেঞ্চুরি করতে পারলে বুক ডন দেব। বুট ক্যাম্পে একটা নিয়ম ছিল দশটা করে বুক ডন দেওয়ার। আমি তখন বলেছিলাম সেঞ্চুরি করতে পারলেই এটা করব। আর স্যালুট দিয়েছি পতাকার জন্য।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিসবাহ’র বুক ডন রহস্য
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ