বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) আজ মঙ্গলবার থেকে পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনে পরীক্ষা শুরু হবে।
ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য খুমেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম তুষার আলম বলেন, খুলনায় আজ থেকে করোনাভাইরাস টেস্ট শুরু হবে। এ জন্য খুমেকের তৃতীয়তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে মলি কুলার ল্যাব তৈরি হয়েছে। এরপর স্থাপন করা হয়েছে পিসিআর মেশিন।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) টিম এসে খুলনার সাতজন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এছাড়া ৭০০ কিট এসে পৌঁছেছে খুলনায়। করোনা ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যাদের স্যাম্পল পাঠাবেন শুধু তাদের করোনা টেস্ট করা যাবে। এক সঙ্গে ৯০টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। চার ঘণ্টায় জানা যাবে এর ফলাফল।
এদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল। ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ শেষে শুরু হয়েছে ডিউটি। শুধু আক্রান্ত রোগীদের সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। তবে শনাক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত রোগীদের রাখা হবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভবনের ফ্লু কর্নারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খুলনা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে শনাক্ত হলেই কেবল ওই রোগীকে ভর্তি করা হবে ডায়াবেটিক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য জনবলের জন্য প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে, নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডের সিএসএস আভা সেন্টারকে। ডাক্তারদের তিনদিন এবং নার্স ও অন্যান্য জনবলকে পাঁচদিন করে করোনার জন্য নির্দিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ডে (ডায়াবেটিক হাসপাতাল) ডিউটি দেওয়া হয়েছে। প্রতি শিফটে ডিউটি শেষে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও অন্যদের পাঠানো হবে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, করোনাভাইরাস বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে খুলনা ডায়াবেটিস হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। নগরীর নূর নগরে অবস্থিত হাসপাতালে চারটি আইসিইউ বেডসহ মোট ৮০টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে বাড়ানো হবে আরো ১০টি আইসিইউ বেড।
তিনি বলেন, ৬০ জন চিকিৎসক, ৬০ জন নার্স ও ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সেবায় নিযুক্ত আছেন। প্রয়োজনে হাসপাতালের বেড ও চিকিৎসক বাড়ানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।