বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভয়াবহ করেনাভাইরাস আতঙ্কের ভয়াল থাবার মধ্যেও উৎপাদনের ধারা সচল রাখার বহুমুখি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষিপ্রধান দেশে মাঠে মাঠে চলছে কর্মবীর কৃষকদের উৎপাদনের যুদ্ধ। সবাই সাবধানতা অবলম্বন করে কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, কার্যক্রম থমকে না যায়, খাদ্যের যোগান অব্যাহত থাকে-তার জন্য দিনরাত সমানতালে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন কৃষকরা। মাঠপর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের কৃষকদের পাশে থেকে সাহস যোগানো, উপকরণ নির্বিঘেœ হাতে পাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই তথ্য দৈনিক ইনকিলাবকে জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. আবদুল মুঈদ। তিনি জানালেন, জরুরি পণ্য হিসেবে কৃষি উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাশ্রয়ী ও ভর্তুকি মূল্যে ফসল রোপন ও কর্তনে খামারযন্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে শ্রমিক সংকট মোকাবেলা সহজ হবে। আউশে দেওয়া হচ্ছে প্রণোদনা। ইনশাআল্লাহ সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন কোনরূপ ব্যাহত হবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধান, গম ও ভুট্রাসহ মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে চাল উৎপাদনে অবস্থান রয়েছে ৪র্থ। দেশে প্রতিবছর খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় ৫ কোটি ৫০লাখ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফিল্ড সার্ভিস উইংএর পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডিদাস কুন্ডু জানান, করোনা আতঙ্কের মধ্যেও সারাদেশে কৃষি কর্মকান্ডে এসেছে বিরাট গতিশীলতা। দেশের ৬৪টি জেলা, ৪শ’৮৫টি উপজেলা ও ১২হাজার ৬শ’৪০টি ব্লক রয়েছে। সবখানে সমানতালে জোরদার হলে আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে কৃষি উৎপাদন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘কৃষি যন্ত্রপাতি উন্নয়ন সহায়তা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সেল’ এর মাধ্যমে চলতি বছরে রাজস্ব খাতে ১শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। দেশের বিভিন্ন উপজেলাতে চাহিদা মোতাবেক ৫০-৭০% ভর্তুকি মূল্যে ধান গম লাগানো ও কাটার যন্ত্রপাতির (কম্বাইন হারভেস্টর, রিপার ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার) বরাদ্দ হয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যে এসব যন্ত্রপাতির সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর কৃষি মন্ত্রণালয়। একথা জানালেন, বিভাগের সমন্বয়ক কৃষি প্রকৌশলী শেখ নাজিম উদ্দিন।
মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. আখতারুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্নস্থানে এখন এক জমিতে চার ফসলী শস্য আবাদের চেষ্টা চলছে। মাঠে মাঠে ধান, সবজি আবাদ, পাট বপন চলছে পুরাদমে। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে সিভিল প্রশাসনের সহায়তায় সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচযন্ত্রের দোকাপাট খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৈশ্বিক দুর্যোগে যাতে কৃষকদের কোনরকম সমস্যায় না পড়তে হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য ডিজি মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরাও মাঠে আছি। তদারকিও চলছে সার্বক্ষণিক।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস প্রসঙ্গক্রমে বলেন, কৃষিই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। বিভিন্ন এলাকার কৃষক, কৃষি কর্মকর্তা, বাজার কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, করোনার কোন প্রভাব এখনো কৃষিতে খুব একটা পড়েনি। মাঠে মাঠে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কৃষক আব্দুস সালাম, যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইঋনিয়নের শালকোনা গ্রামের জসিম উদ্দীন ও মোঃ আলমসহ মাঠে কর্মরত বেশ কয়েকজন কৃষক জানালেন, কৃষি বিভাগ মাঠে নজর রাখছে, আমরা দুর্দান্ত গতিতে উৎপাদনে দিনরাত কাজ করছি। চলছে সেচনির্ভর বোরো আবাদের ভরা মৌসুম, কৃষি উপকরণ পেতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।