Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দু:স্থদের পাশে নেই কোন এনজিও

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ৬:২১ পিএম

কলাপাড়ায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চলমান লকডাউনে কর্মবিমূখ হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষ মানুষ। এসব মানুষের খাদ্যের যোগানে চলছে সরকারী অপ্রতুল খাদ্য সহায়তায়। কলাপাড়ায় প্রায় ৫০টি এনজিও’র কার্যক্রম চললেও হতদরিদ্র এসব মানুষের পাশে নেই তারা কেউ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এনজিওর গুলোর এমন আচরণে হতাশা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রশাসনসহ সাধারন মানুষ। এছাড়াও গনতন্ত্র, উন্নয়ন, সুশাসন, ভোট ও ভাতের অধিকার নিয়ে একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনের সময় শ্রমজীবী এসকল মানুষের দ্বারে দ্বারে প্রতিশ্রæতির ডালি নিয়ে ঘুরলেও এখন এ অসময়েও শ্রমজীবি এসব মানুষের পাশে নেই রাজনৈতিক দল গুলো। ফলে একমাত্র সরকারের অপ্রতুল খাদ্য সহায়তায় শ্রমজীবী এসকল হতদরিদ্র পরিবার গুলোর কোন দিন উনুন জ্বলছে, আবার কোন দিন জ্বলছেনা।

স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীসহ সাধারন মানুষের অভিযোগ, ঘূর্নিঝড় সৃস্টি হলে ক্যামেরা হাতে গনমাধ্যমকর্মীদের চেয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন এনজিও গুলোর কর্মীরা। অপ্রতুল সাহায্যের নামে শ্রমজীবি হত দরিদ্র মানুষ গুলোর সাথে চলে ফটোশেসন। এসব ফটো দেখিয়ে দাতাদের আকৃস্ট করে আর্থিক সহায়তা নিলেও এসব মানুষের ভাগ্যে জোটে যৎসামন্য। বর্তমান করোনা পরিস্থিতে সারা দেশ লকডাউন ঘোষনার পর একইভাবে এসব মানুষের পাশে মাঠে থাকার কথা থাকলেও দেখা মিলছেনা কোন এনজিওর। এতে হতাশা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রশাসনসহ সাধারন মানুষ।

এনজিও থেকে ঋন গ্রহনকারী আয়েশা বেগম (৩৬) জানান, ব্যাংক থেকে ঋন গ্রহন সহজ না হওয়ায় এনজিও থেকে ঋন গ্রহন করেছেন। দু:সময়ে কিস্তি বাদ দেয়ার সুযোগ নেই। সারা বছর মোটা অংকের সুদ নিলেনও দু:সময়ে এরা কোন সাহায্য করেনা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশে দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে উপজেলায় ৪৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দু’লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা দিয়ে উপজেলার ২০০০ পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, আলু, লবন ও সাবান সম্বলিত প্যাকেজ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া এসএসসি’১১ ও এসএসসি ১৩ নামের দু’টো সামাজিক সংগঠন কিছু দুস্থ্য পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।

কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ’করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এনজিও গুলো শুধুমাত্র সচেতনতার হ্যান্ডবিল বিতরন ছাড়া দুস্থ্য মানুষের জন্য কিছু করেছে বলে আমার জানা নেই। তবে এ পরিস্থিতিতেও তারা কিস্তি আদায় কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করায় তাদের নিষেধ করা হয়েছে।’ইউএনও শহিদুল হক আরও বলেন, ’স্থানীয় মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংসদ দুস্থ্য মানুষের জন্য কিছু খাদ্য সহায়তা বিতরন করেছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, বিত্তবান ব্যক্তি ও এনজিওদের নিয়ে সভা ডাকছি।

 



 

Show all comments
  • নূরুল্লাহ ৩ এপ্রিল, ২০২০, ৭:২৯ পিএম says : 0
    আমার মতে বাংলাদেশের এনজিও সংস্থার নাম পাল্টে দেওয়া উচিত। ওরা কী নামে এসেছে কী হয়ে ওঠেছে তা পরিষ্কার হওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ