Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনায় দক্ষিণ-পশ্চিমে এনজিওগুলোর উল্লেখযোগ্য তৎপরতা নেই

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ৬:০২ পিএম

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সকল উইং দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করলেও দক্ষিণ-পশ্চিমে এনজিওগুলোর ভূমিকা মোটেও উল্লেখযোগ্য নয়। উপরন্ত ক্রেডিট প্রোগ্রামের অধিকাংশ এনজিও কিস্তি আদায়ে তৎপর রয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের প্রশ্ন, এনজিওগুলো দেশের মহাসংকটে চুপচাপ বসে আছে এটি দুঃখজনক। এদের ব্যাপারে এই মুহূর্তে সরকারি একটা নির্দেশনা জরুরি।

যশোর শহরের ঘোপ এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কবিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহের আরাপপুরের আব্দুর রহিম. খুলনার নিউ মার্কেট এলাকা তবারক হোনেসহ বেশ কয়েকজন এনজিও’র ঋণ গ্রহিতা বললেন হৈ চৈ হবার আগপর্যন্ত কিস্তির টাকা আদায়ে চাপ সৃষ্টি করেছে। এখনো সহজ সরল অনেক মানুষকে কিস্তি আদায়ের চাপ দিচ্ছে। তাদের প্রশ্ন মানুষের এই মহাবিপদে অধিকাংশ এনজিও’র কোনরূপ ভুমিকা নেই। এমনকি ঘরবন্দি গরীব মানুষের সাহায্য সহযোগিতা বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলেও তাদের তৎপরতা নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় এনজিও’র সংখ্যা ৮হাজার ৩শ’ ৩৬টি। যার সিংহভাগই সুদের কারবার চালায়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বেশ কয়েকজন বললেন, গ্রামীণ দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর ভাগ্য বদলের দোহাই দিয়ে এনজিও’র ক্রেডিট প্রোগ্রামের নামে প্রায় সব গ্রামেই চলে ফ্রিস্টাইলে সুদের কারবার। এতে গরীব ও অসহায় মানুষ স্বনির্ভরতার বদলে হয় সর্বস্বান্ত। অথচ অথিকাংশ ক্রেডিট প্রোগ্রামের এনজিও মালিকরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তর এনজিওগুলোর রেজিস্ট্রেশন দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাইক্রোক্রেডিট অথরিটি থেকে লাইসেন্স নিয়ে ক্রেডিট প্রোগ্রাম করে থাকে এনজিওগুলো। তারা পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) থেকে নামমাত্র হারে সুদে ক্রেডিট প্রোগ্রামের অর্থ সংগ্রহ করে এলাকাভিত্তিক ঋণ দেয়। কিন্তু আদায় করে ২৫/৩০%।

অর্থনীতিবিদ যশোর মাইকেল মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নাসিম রেজা বললেন, গ্রামীণ দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর ভাগ্য বদলের দোহাই দিয়ে যেসব এনজিও বছরের পর বছর সুদের কারবার চালায়, তারা অন্তত দেশের মহাসংকটে এগিয়ে আসা জরুরি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ অঞ্চলে এনজিওগুলোর মধ্যে আরআরএফ, জাগরণী চক্র, শিশু নিলয়, শাপলা, লাইফ, সমাধান, বাঁচতে শেখা, বন্ধু কল্যাণ ফাউনেশন, সুশীলন, প্রত্যাশা ও সৃজনীসহ শতাধিক এনজিও’র মাইক্রেডিট অথরিটির লাইসেন্সধারী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ