কাল থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কাজ শুরু হবে। এটিই হবে দক্ষিণাঞ্চলে কোভিড-১৯ পরীক্ষার একমাত্র স্থান। গত সোমবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে পিসিআর মেশিন এসে পৌঁছায়। কলেজের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপন করা হচ্ছে পিসিআর মেশিনটি। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাল থেকেই পরীক্ষার কাজ শুরু করা যাবে।

তবে শেবাচিম হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ভাইরাস পরীক্ষার জন্য একজন ভাইরোলজিস্ট ও দুইজন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান প্রয়োজন। কিন্ত বরিশাল মেডিকেল কলেজে তার একজনও নেই। তবে ডা. বাকির হোসেন বলেছেন, ভাইরোলজি বিভাগে কর্মরত শিক্ষক এবং টেকনিশিয়ানদের দ্বারাই প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হবে। তারপরও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভাইরোলজিস্ট ও দু’জন টেকনিশিয়ান পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দফতর জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার বাইরে দেশের ৭টি স্থানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ওই ৭ স্থানের মধ্যে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বরিশাল নানা কারণে করোনাভাইরাস বিস্তারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা উল্লেখ করে দফায় দফায় আবেদন করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেডিকেল কলেজে ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ওই উদ্যোগের প্রেক্ষিতেই গত সোমবার পিসিআর মেশিন এবং অন্য যন্ত্রাংশ বরিশালে আসে।

এদিকে ল্যাব স্থাপন ও করোনা পরিস্থিতির সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বরিশাল সদর আসনের এমপি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে শেবাচিমে ল্যাবটি স্থাপন এবং পরীক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন।
হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, খুলনা থেকে একটি কারিগরি দলের তত্ত্বাবধানে বরিশালে এসে দ্রুত গতিতে ল্যাব স্থাপনের কাজ করছে। আজকের মধ্যে ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম শেষ হবে।