পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চৈত্রে দিনভর গুমোট গরমের পর প্রাণহীন ঢাকা ভিজল প্রশান্তির বৃষ্টিতে। বৃষ্টির ঠাÐা বাতাস রাজধানীর মানুষকে কিছুটা হলেও শান্তির পরশ এনে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার থেকে ৫টার মধ্যে ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়। কালবৈশাখীর আগামবার্তা জানিয়ে বয়ে যায় দমকা হাওয়া।
করোনা সতর্কতায় গুটিয়ে থাকা রাজধানীতে কয়েকদিন ধরেই অনুভূত হচ্ছিল গুমোট গরম। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমও বাড়তে থাকে। সেনা ও পুলিশ বাহিনীর বাড়তি তৎপরতায় ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার সুযোগও সীমিত হয়ে ওঠে। কনক্রিটের দেয়ালে ঘরবন্দি নগরবাসীর চরম অস্বস্তিতে পড়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাপমাত্রা ও হিউমিডিটি (আদ্রতা) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাপমাত্রা ও আদ্রতা করোনাভাইরাস কিছুটা হলেও দুর্বল করতে পারে। আল্লাহর রহমতে প্রকৃতির অপার মায়ায় গতকাল একপশলা ভিজিয়ে দিল অবরুদ্ধ নগরী।
এদিন সকাল থেকেই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনী কঠোর অবস্থান নেয়ায় রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষের আনাগোনা কার্যত কমে যায়। রাজধানীর প্রায় প্রতিটি প্রধান সড়কসহ পাড়া-মহল্লার গলিতেও সেনা সদস্যদের বাড়তি তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে যারাই বাইরে বের হয়েছেন তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাণহীন রাজধানীর নীরব সড়কগুলো ভিজিয়ে দিলো স্বস্তির বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার সকালে কিছুটা ঠাÐা বিরাজ করে। এরপর রোদের প্রখরতা বাড়ে। তবে বেশিরভাগ সময় সূর্যকে ঢেকে দিচ্ছিল মেঘ। বিকেল পৌনে ৪টা থেকে মেঘের গর্জনে কালো হয়ে যায় রাজধানীর আকাশ। কিছুসময় পর শুরু হয় বৃষ্টি। কিছু সময় পর বৃষ্টি থেমে গেলেও আকাশ মেঘলা রয়েছে। করোনাভাইরাসের পাদুর্ভাবের মধ্যেই গত কয়েকদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তীত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। এছাড়া আগামী রোববার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে ঝড়ো বাতাসও বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, আরও কয়েকদিন দেশের কয়েকটি স্থানের উপর দিয়ে তাপমাত্রা বয়ে যেতে পারে। আর কয়েকদিন পরই গ্রীষ্মকাল। সে সময় প্রায় প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন বৃষ্টির প্রবণতা কম থাকবে। তবে পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালি বাতাসের সংমিশ্রণে যেকেনো সময় দমকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মংলা ও চুয়াডাঙায় ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার প‚র্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সীতাকুÐ, ফেনী, রাঙামাটি, মাইজদীকোর্ট, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।