Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এসময়ে ভ্যানে সব্জি বিক্রেতারা ভাল ভূমিকা রাখছে

রেজাউল করিম রাজু | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২০, ১২:১১ পিএম

এইযে সব্জি তরকারী লিবেন পাড়া মহল্লার অলিতে গলিতে এমনই হাঁক ডাক। করোনা ভাইরাস ছুটিতে মানুষ ঘরে। যানবাহন প্রায় বন্ধ। রয়েছে সতর্কতামুলক বিধি নিষেধ। মানুষের নিত্যদিনের চাহিদা পূরনে টাটকা শাকস্বব্জি ভ্যানে নিয়ে স্বব্জির ফেরীওয়ালা এখন আরো দারুন ভ’মিকা পালন করছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে নিজের ও অন্যদের প্রয়োজন মেটাতে কাকডাকা ভোরে পাইকারী বাজার এসে লাউ কুমড়ো পটল শসা করল্লাসহ বিভিন্ন রকমের শাকস্বব্জি ভ্যানে সাজিয়ে নিয়ে ছুটছে। আগের চেয়ে এদের সংখ্যা বেড়েছে। বাজারে যাবার ঝামেলা এড়াতে মানুষ বাড়ির দৌড় গোড়ায় এসব কেনাকাটা করছে। বাড়ির গিন্নীরাও হাতের নাগালে পছন্দের স্বব্জি কিনছেন। পরিবারের সদস্যদের দিচ্ছেন টাটকা শাকস্ব্িব্জর স্বাদ। অনেক গৃহিনীর মন্তব্য অন্তত ফ্রীজে রাখা শাকস্বব্জির চেয়ে এসবের স্বাদই আলাদা। এখন আর সপ্তাহের বাজার করার দরকার নেই। রোজ কিনবো রোজ খাব।
আজ সকালে রাজশাহীর কাঁচামালের পাইকারী বাজারের সামনে সোনাদিঘীর মোড়ে লাইন দিয়ে ভ্যানগুলোকে শাকস্বব্জির পসরা সাজাতে দেখা যায়। খোজ খবর নিয়ে জানাগেল বাজারের শাকস্বব্জির দামের সাথে ভ্যানওয়ালাদের দামের ফারাক খুব একটা বেশী না। তাছাড়া এখন মাঠে মাঠে প্রচুর শাকস্বব্জি কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা কম। এখানকার উৎপাদিত শাকস্বব্জি রাজধানীসহ বিভিন্নস্থানে চালান হয়। এখন তা প্রায় বন্ধ। এনিয়ে বিপাকে রয়েছে আবাদকারীরা। স্থানীয় বাজারে যা কিছু আসছে খুব কমদামে এসব পন্য বিক্রি করছেন পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে।
শহরের বাজারে পটল করল্লা শসাসহ বিভিন্ন শাকস্বব্জির দাম কেজিপ্রতি ত্রিশ চল্লিশ টাকার মধ্যে রয়েছে। একটা বড় লাউ কুমড়ো বিক্রি হচ্ছে পনের বিশ টাকায়। কোন শাকের কেজি কুড়ি টাকার বেশী নয়। পেয়াজের ঝাঁজ একেবারে কমে কেজিপ্রতি কুড়ি টাকায় নেমেছে। শহরের বাজারে যখন এমন দাম তখন সহজেই অনুমেয় উৎপাদক পর্য্যায়ে দামের কি অবস্থা। ক্রেতার অভাবে লাউ কুমড়োগুলোর বয়স বাড়ছে। মাচাতে ঝুলছে। পটল করল্লা পেকে নষ্ট হবার উপক্রম। গ্রামে গ্রামে মানুষ ফিরে আসায় কিছুটা রক্ষা হলেও একেবারে কমদামে এসব পন্য বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক সময় ফসল তোলার মজুরীর টাকা উঠছেনা। পেয়ারা, কলাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল নিয়েও বিপাকে আছেন উৎপাদকরা। কমে গেছে ডিমের দাম। কুড়ি টাকা হালির নিচেই মিলছে। কমেছে মাছ, মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা জানালেন মাসের প্রথম সপ্তাহে চাকুরিজীবীরা মাস কাবাড়ি বাজার করেন। কদিনে হয়তো পন্যের চাহিদা বাড়তে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ