বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই বগুড়া থেকে আসা তিনজন এবং রাজশাহীর একজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রামেকের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী একথা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা শনাক্তে গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন আসে। এরপর রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের পাঁচটি কক্ষে ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ল্যাব প্রস্তুুতের পর মঙ্গলবার পিসিআর মেশিন স্থাপন কর হয়। বুধবার দুপুর থেকে শুরু হয়েছে নমুনা পরীক্ষা।
ল্যাবের ইনচার্জ রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সাবেরা গুলনাহার জানান, ঢাকা থেকে টেকনিশিয়ানদের দুটি দল পাঁচদিন কাজ করে ল্যাবটি প্রস্তুত করেছেন। তারা ২৪০টি কিটও পেয়েছেন। ল্যাবে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। ফলাফল প্রকাশ করতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরোলজি ও বায়ো-কেমিস্ট্রি বিভাগের ৩০ চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। এরই মধ্যে তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ল্যাব প্রস্তুত হলেও তাদের সুরক্ষার জন্য এন-নাইনটিফাইভ মাস্ক না থাকার কারণে বুধবার পরীক্ষা শুরু করার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছিল। পরে রামেক হাসপাতাল থেকে বিশেষ এই মাস্ক নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারপরই পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. বুলবুল হাসান বলেন, সবকিছু ঠিকভাবে চালু হয়েছে ল্যাবটি। মাইক্রোবাইলজি ও ভাইরোলজি বিভাগ যৌথভাবে ল্যাবটি পরিচালনা করবে। কেউ একা একা এসেই এখানে নিজের নমুনা পরীক্ষা করতে পারবেন না। করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগের জন্য রামেক হাসপাতালে ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কারো নমুনা পরীক্ষার সুপারিশ করলেই কেবল তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এদিকে গতকাল দুপুরে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র এএইচএম খয়রুজ্জামান লিটন ও সদও আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। মতবিনিময়কালে মেয়র চিকিৎসকদের আন্তরিকতার সঙ্গে এই সংকট মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণের আহŸান জানান। বুধবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম আনা হয়েছে। এই মূহুর্তে সরঞ্জামের কোনো ঘাটতি নেই। প্রয়োজন হলে আরও চিকিৎসা সরঞ্জাম ঢাকা থেকে আনা হবে। সভায় রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, রামেকের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ করোনার চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালের গঠিত বিশেষ টিমের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।