Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাগেরহাটে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ৪:০৮ পিএম

বাগেরহাটে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম ও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে সরকার।হতদরিদ্র ও দিনমজুর মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের চাহিদা মেটোতে বাগেরহাট জেলায় ১‘শ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের সুগন্ধি গ্রামের আশ্রয় কেন্দ্রের গুচ্ছগ্রাম পল্লীর হতদরিদ্র মানুষদেরকে চাল, ডাল, তেল, লবন, পেঁয়াজ এবং সাবান দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।
এসময় বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফিরোজুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে কচুয়া উপজেলার রাড়ীপাড়া, মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি, মোল্লাহাট, চিতলমারীসহ জেলা বিভিনś এলাকায় হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও সাবান বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।
এই সহায়তার আওতায় প্রতিটি পরিবার ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি করে ডাল, তেল, লবন ও পেঁয়াজ এবং হাত ধোয়ার জন্য একটি করে সাবান পাচ্ছে।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শামীম মোল্লা ও রিকশা চালক রজব আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘরের বাইরে যেতে পারিনা । চালসহ অন্যান্য খাবার ধার করে খাচ্ছি। ডিসি সাহেব চাল, ডাল দিয়েছে। খুব উপকার হল।
রোমেচা বেগম, হাসিম হাওলাদার, নার্গিস বেগমসহ আরও অনেকে বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে চাল, ডালসহ অনেক কিছু পেয়েছি। তবে এতে আমাদের কয়েকদিন চলবে।এই পরিস্থিতি অব্যহত থাকলেও সহযোগিতা বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যার যার ঘরে থাকছেন। অর্ন্তবর্তিকালীন এই পরিস্থিতিতে যারা দিন আনে দিন খায়, হত দরিদ্র দিনমজুর জনগোষ্ঠিও ঘরের বাইরে আসতে পাড়ছে না। সেই দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য সরকার যে ত্রাণ সহয়তা বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা তা হত দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছি। আমাদের এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ