মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখালেন যে দেশ সবার জন্য কাজ করবে। ব্রিটেনকে তিনি একটি একক জাতি হিসেবে নেতৃত্ব দেয়ার সংকল্প ব্যক্ত করলেন। ব্রিটেনের ৭৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই তিনি প্রথম বক্তব্যে এসব প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের ঐতিহাসিক কালো দরজাকে পিছনে রেখে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সাংবাদিক ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তার বয়স ৫৯ বছর হলেও এ সময় তাকে দেখা গেছে তারুণ্যদীপ্ত। তিনি মোহ সৃষ্টিকারী এক বক্তব্য দেন। বলেন, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডকে নিয়ে আমাদের ইউনিয়ন ধরে রাখবো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার নিয়ে যে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে তাও মোকাবিলার কথা বলেন তিনি। বলেন, বিশ্বে ব্রিটেন একটি নতুন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ব্রিটেন হবে এক জাতির দেশ। এখানে সব ভোটার এক। এটা শুধু কনজার্ভেটিভদের দেশ নয়।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি সরাসরি বার্তা দেন। বলেন, আমি জানি আপনারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। আমি জানি আপনারা সর্বোত্তম চেষ্টা করছেন। আমি জানি কখনো জীবন হয়ে ওঠে সংগ্রামময়। আমি যে সরকারের নেতৃত্ব দেবো তা শুধু মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষের স্বার্থের জন্য নয়, আপনাদের সবার জন্য হবে তা। আপনাদেরকে যতটা সম্ভব ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো। বক্তব্যে তিনি পূর্বসুরি ডেভিড ক্যামেরনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তেরেসা মে বলেন, আমি একজন অত্যন্ত আধুনিক প্রধানমন্ত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করছি। ডেভিড ক্যামেরণের নেতৃত্বাধীন সরকার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে। বাজেট ঘাটতি কমিয়েছে। বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে।
ব্রেক্সিট ভোটে দৃশ্যত বিভক্ত যুক্তরাজ্য সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে তেরেসা মে বলেছেন, ‘উন্নততর যুক্তরাজ্য’ গড়তে চান তিনি। বাকিংহাম প্যালেসে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে এক বক্তব্যে মে বলেন, তার প্রশাসন সুবিধাভোগী মুষ্ঠিমেয় গোীর স্বার্থের নয়, বরং আধুনিক জীবনের চাপের মুখে সংগ্রাম করে যাওয়া সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণে মে ব্রিটিশ সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করার পাশাপাশি গরিব এবং কোণঠাসা মানুষদের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ধনী নয় বরং সংগ্রামরত মানুষদের স্বার্থের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়ে মে বলেন, বড় কোনও দায়িত্ব নেওয়ার ডাক এলে আমরা প্রভাবশালীদের কথা ভাবব না, আপনাদের কথা ভাবব। নতুন কোনও আইন পাশের ক্ষেত্রে আমরা বলশালীদের কথা শুনব না, আপনাদের কথা শুনব। করের ক্ষেত্রে আমরা ধনীদের অগ্রাধিকার দেব না, আপনাদেরকে দেব। কোনওরকম সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে মুষ্ঠিমেয় গোষ্ঠী নয়, অন্যদের যে কাউকে সহায়তা করার জন্য আমরা সবকিছু করব। দেশের সব নাগরিকের মধ্যে ঐক্য প্রতিারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মে। গত ২৩ জুনের গণভোটের ব্রেক্সিট অর্থাৎ, ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষের ভোট জয়ের পর হতাশ হয়ে ক্যামেরনের পদত্যাগ এবং প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টিতে বিশৃঙ্খলায় যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটে পতিত হয়েছে। আর তাই ব্রেক্সিটের জটিল প্রক্রিয়া শুরুর করার পাশাপাশি পার্টি বিভাজন দূর করা এবং জাতিকে একতাবদ্ধ করার গুরু দায়িত্বটিও এখন মে’রই। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।