বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা প্রতিরোধে সারাদেশের মত সীমান্ত শহর টেকনাফও স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মানুষকে ঘরে থাকা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা প্রশাসন, নৌ-বাহিনীর টহল ও প্রচারাভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে রোহিঙ্গারা রয়েছে ভয়াবহ আতঙ্কে। সেই আতঙ্ক নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের সাথে কাজ করছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
নৌবাহিনীর কক্সবাজার জেলা সমন্বয়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাজিবুল ইসলাম-উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তায় নৌবাহিনীর একটি কন্টিজেন্ট টিম কাজ করছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেদিকে বিশেষ ও প্রচারনা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য টহল জোরদার করা হচ্ছে। এছাড়াও ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।
সরকার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিপণী বিতান গুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর হইতে ব্যবসায়ীরা তাদের বিপনী বিতান গুলো বন্ধ রেখে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ করে রেখেছে টেকনাফ শহর থেকে গ্রামাঞ্চল। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ এখন ঘর থেকে বের হয় না। সবাই নিজেও পরিবারকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে বাড়ীতেই সময় পার করছেন।
২৮ মার্চ সকালে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনসুর, নৌবাহিনীর কক্সবাজার জেলা সমন্বয়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি দল টহল দেন ও সচেতনতা সৃষ্টিতে হ্যান্ড মাইক দিয়ে জনগণকে ঘরে থাকাসহ করোনা প্রতিরোধে নানা পরামর্শ প্রদান করা হয় এবং প্রচারপত্র বিলি করা হয়।
এসময় টেকনাফ নৌবাহিনীর টেকনাফ কন্টিজেন্ট কমান্ডার, লেঃ কমান্ডার আসাদুজ্জামান ইমরান (বিএন) উপস্থিত ছিলেন। গত চারদিন ধরে উপজেলা শহরসহ গ্রামাঞ্চলের দোকানপাট বন্ধ ও বাজারে লোক সমাগম কমে গেছে। দিনব্যাপী নৌ সদস্যরা মাঠে আসার পর পরই পৌর শহরের প্রধান সড়ক একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। এছাড়াও জনসমাগম বন্ধসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। দোকানপাট বন্ধ থাকা আর যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ার কারণে বদলে গেছে পৌর এলাকার চিরচেনা চিত্র।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনসুর জানান, বিদেশ থেকে ফেরত আসা ব্যক্তির অবস্থান নির্ণয় ও তাদের নিজ নিজ অবস্থানে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাই হবে নৌবাহিনীর মূল লক্ষ্য। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নৌবাহিনী নিয়োজিত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।