পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা তান্ডবে কাঁপছে সারাবিশ্ব। অঘোষিত লকডাউন কক্সবাজারজুড়ে। এরই মাঝে কক্সবাজার সাগরপাড়ে ১০/১২ দিন ধরে কুকুরের সাথে বসবাসকারী একটি শিশুর প্রতি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক যে মানবিকতা দেখালেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
ইমন নামের ৬/৭ বছরের ওই শিশুটিকে খুঁজে নিজ বাংলোয় নিয়ে গেলেন জেলা প্রশাসক। শুধু নিয়ে যাননি, পরালেন নতুন জামা কাপড়, নিজেই বসে থেকে তাকে পছন্দের খাওয়ার খাওয়ালেন। একজন জেলা প্রশাসক হিসেবে নয়, এ যেন প্রকৃত এক অভিভাবকের পরিচয় দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
জনমানবহীন সৈকতে মানব শিশুটি কুকুরের সাথে সহাবস্থান নিয়ে তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ডিউটিতে গিয়ে কক্সবাজার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া এই শিশু এবং কুকুরের ছবিটি তার মোবাইলে ধারণ করেন।
অতঃপর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শিশুটির সন্ধানে বের হন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (প্রটোকল শাখা, পর্যটন) মো. ইমরান জাহিদ খান ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও আইসিটি) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম। বিচ কর্মীদের সহায়তায় শিশুটিকে রাত ১টার দিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ডিসির বাংলোয়। তাকে পরিচ্ছন্ন করে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অভিভাবকহীন শিশুটির মুখে জীবনের গল্প শুনেন জেলা প্রশাক মো. কামাল হোসেন। তাতেই আনন্দ খুঁজে পান তিনি।
এ প্রসঙ্গে দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘জনশূন্য কক্সবাজার সৈকতে কুকুরটিই যখন আপনজন!’ শিরোনামে তার ফেসবুক আইডিতে সেই রিপোর্টটি পড়েই জেলা প্রশাসক খুঁজতে শুরু করেন শিশুটির অবস্থান। শেষ পর্যন্ত রাত একটার দিকে সাগর পাড়েই তাকে পাওয়া যায়। রাত সোয়া একটার দিকে জেলা প্রশাসক শিশুটিকে উদ্ধারের খবর দিয়ে জানান, আমি তার অপেক্ষায় আছি। তাকে বাসায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
কক্সবাজার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বলেন, শিশুটির নাম ইমন। সে নির্জন সাগর পাড়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। তার পাশেই দেখি একটি কুকুরও রয়েছে ঘুমিয়ে। তিনি শিশুটির ঘুম ভাঙিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তার বাড়ি মহেশখালী দ্বীপে। মা-বাবা তাকে লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়েছিল একটি মাদরাসায়। সে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সাগর পাড়ে। গত ১০/১২ দিন ধরেই শিশু ইমন কক্সবাজার সাগর পাড়েই ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।