রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পল্লীতে বিধান চন্দ্র রায়ের (২৬) লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারেরর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নিহত বিধানের বাবা প্রফুল্ল্য চন্দ্র রায় বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারভূক্ত তিনজন আসামিকে গত শুক্রবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের হুগলীপাড়া মৃত. বিনোদ চন্দ্র সরকারের ছেলে উত্তম কুমার সরকার (৪০), একই গ্রামের নরেন চন্দ্র সরকারের ছেলে নগেন চন্দ্র সরকার (৪৫) এবং একই ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী গ্রামের মৃত. সুনীল চন্দ্র মোহন্তের ছেলে কাজল চন্দ্র মোহন্ত (৪৮)।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুর উপজেলার ৪ নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার শ্রী প্রফুল্ল্য চন্দ্র রায়ের ছেলে বিধান চন্দ্র রায়। সে সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে সৈয়দপুর শহরের সুইপার কলোনীর একটি টাইলস দোকানেও কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করতো। ঘটনার দিন গত শুক্রবার সকালে তাদের বাড়ি থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে একটি গাছ থেকে বিধান চন্দ্র রায়ের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশ। হুগলীপাড়ার জনৈক দেবেন্দ্র নাথ সরকারের লিচু বাগানের একটি গাছ থেকে দুই পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। আর এ ঘটনায় বিধানের পরিবারের সদস্যদের মনের মধ্যেও ব্যাপক সন্দেহের উদ্রেক হয়। কারণ তাদের সন্দেহ বিধান স্বেচ্ছা আত্মহত্যা করে থাকলে তাঁর দুই পা বাঁধা অবস্থায় থাকবে কেন? এ ঘটনার পর উদ্ধারকৃত লাশের ময়না তদন্ত শেষে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহত বিধানের বাবা প্রফুল্ল্য চন্দ্র রায় গত শুক্রবার রাতেই সৈয়দপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। তিনি মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে প্রেমঘটিত কারণে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ আনেন। ওই মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখপূর্বক আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এ মামলা দায়েরের পর পরই মামলার এজাহারভূক্ত উল্লিখিত তিন আসামি উত্তম কুমার সরকার, কাজল চন্দ্র মোহন্ত এব নগেন চন্দ্র সরকারকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
বিধান চন্দ্র রায়ের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা থানায় একটি মামলার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর ওসি মো. আবুল হাসনাত খান। তিনি বলেন, মামলার এজাহারভূক্ত তিন আসামিকে গত শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আর গতকাল শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।