বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাতক্ষীরায় বন্দুকযুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি অহেদ আলী গাজী নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে সদর উপজেলার ধুলিহরের একটি আমবাগানে এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় লশের পাশে থাকা একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত অহেদ আলী গাজী (৪৫) ধুলিহর তমালতলা গ্রামের নবাত আলী গাজীর ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, রাত তিনটার দিকে ধুলিহরে দাউদ আলীর আমবাগানে গোলাগুলি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের একটি দল পেীঁছায়। পুলিশ সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অহেদের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্ব দুই পক্ষের গোলাগুলিতে অহেদ নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও দা উদ্ধার হয়েছে। অহেদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সদরের আগরদাড়ি ইউনিয়নের কুচপুকুরের আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ২০১৯ সালের ২২ জুলাই বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কাশেমপুর নামক স্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে ইনামুল হক পলাশ জানান, তার বাবার হত্যায় জড়িত কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তারা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর আদালতে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দী দেয়। আদালতে আসামীরা জানায় অহেদ আলী ভাড়াটিয়া খুনি। সে-ই নজরুলকে খুন করেছে। ঘটনার পর থেকে অহেদ পলাতক ছিলো।
পলাশ আরো জানান, তার চাচাতো ভাই রাসেল কবীরও একই ভাড়াটিয়া খুনি অহেদের ছোঁড়া গুলিতে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের রাজার বাগান এলাকায় নিহত হন। নজরুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি মহিদুল হক জানান, অহেদ একজন ভাড়াটিয়া খুনি। সে টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করে। অহেদ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।