বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে যখন লকডাউন, শাটঢাউনের মধ্যদিয়ে বলতে গেলে এক নজিরবিহীন অচলায়তন বিরাজ করছে। সেখানে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার সচলতায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর। আজ শুক্রবারও সচল বন্দরের দৃশ্যপট এই প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দরে অবস্থানরত দেশি ও বিদেশি জাহাজ বহরে, জেটি-বার্থ, টার্মিনাল, ইয়ার্ড, শেডসহ প্রায় সব স্থাপনায় রাতের বেলায়ও বাতির আলোকরশ্মিতে করছে জ¦লমল।
যদিও সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়োজিত থাকাবস্থায় এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ সতর্কতা বজায় রেখেই পালাক্রমে সচল রাখা হয়েছে বন্দরের কার্যক্রম। রয়েছে সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য সতর্কতা, প্রস্তুতির জরুরি দিকগুলোও।
আজ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার পথে ৬ টি ট্রেনযোগে আমদানি পণ্যে বোঝাই কন্টেইনার এবং খালি মালামালের ওয়াগন ডেলিভারি হয়েছে। সড়ক মহাসড়ক দিয়ে পণ্যসামগ্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আগে থেকেই এ বিকল্প রাখা হয়। বন্দর ও রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে রেলের পরিবহন সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
করোনায় সতর্কতার আওতায় দেশজুড়ে চলমান ‘সামাজিক দূরত্ব’ বা বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থা চলমান। তবে এ কারণে যাতে বন্দরের আমদানি ও রফতানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন না ঘটে এ লক্ষ্য নিয়েই সার্বক্ষণিক (২৪/৭) সচল রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম।
বর্তমানে সীমিত হলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানি মালামাল, কন্টেইনার ভর্তি জাহাজে উঠানামা পণ্য খালাস, ডেলিভারি এবং ঢাকা আইসিডি, বেসরকারি আইসিডিসহ (অফডক)সহ বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহন করা হচ্ছে।
বন্দরভিত্তিক দেশের প্রধান রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসও সীমিত পরিসরে ২৪ ঘণ্টা জরুরি আমদানি-রফতানি পণ্যসামগ্রীর ডকুমেন্ট ছাড়সহ আনুষঙ্গিক সেবা চালু রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম জানান, দেশের সাপ্লাই চেইন সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের সচলতা অব্যাহত থাকবে।
বন্দর সূত্র জানায়, অপারেশনাল কাজে সরাসরি যারা জড়িত সেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকছেন। ছুটিতে অন্যরা ঘরে বসে তদারক করছেন। ডিজিটালিও মনিটর করা হচ্ছে। তাছাড়া বন্দরে বর্তমানে কন্টেইনার ও জাহাজের জট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মালামাল যা আসছে ডেলিভারি হয়ে যাচ্ছে। বন্দরে কন্টেইনার রয়েছে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশ নিচে।
শিপিং প্রতিষ্ঠান, আমদানি ও রফতানিকারক ও বিভিন্ন খাতের বন্দর ব্যবহারকারী তথা স্টেক হোল্ডারগণ নিজেদের বাসাবাড়িতে বসে অফিস করছেন। নিচ্ছেন বন্দরে তাদের কাজের খোঁজ-খবর। বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা তথা জ¦র বা তাপমাত্রা গেইটে ঢোকা আগে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া সংরক্ষিত এলাকার ভেতরে প্রবেশ নিষেধ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।